কিভাবে বুঝবো আমার স্ত্রী বিবাহের পূর্বে অন্য কারো সাথে গোপন কাজটি করেছে কি না

আসসালামু আলাইকুম। আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এটি আপনার জীবনের সাথে সম্পৃক্ত। আসলে বিবাহ করার মাধ্যমে একটা নতুন জীবন বা অধ্যায় শুরু হয়। সবাই চাই সুখে শান্তিতে সংসার করতে। সবাই আশা করে তার জীবন সঙ্গিনী ভালো হবে। আর এই সংসার সুখের করতে প্রথম শর্ত হচ্ছে দুজনের মধ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

তাই কিভাবে বুঝবো আমার স্ত্রী বিবাহের পূর্বে অন্য কারো সাথে গোপন কাজটি করেছে কি না, স্ত্রী সৎ কিনা, ভালো মেয়ে চেনার উপায় ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব।

বিবাহের মাধ্যমে একজন পুরুষ এবং একজন নারীর মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। এই সুসম্পর্ক যে ধরে রাখতে পারে তার সংসার সুখের হয়ে থাকে। আর এই সুসম্পর্কের মধ্যে যদি ফাটলের সৃষ্টি হয় তাহলে সংসার ভেঙ্গে যেতে পারে। বর্তমানে এই সম্পর্কটা এখন সবার কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। এখানে আলোচনার বিষয় হলো স্ত্রীর বিয়ের আগে কোন গোপন সম্পর্ক রয়েছে কিনা।

কিন্তু বর্তমানে এই বিষয়টা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। তাই বিয়ের আগে এই বিষয়গুলো নিয়ে পুরোপুরি আলোচনা করা উচিত। কারণ দাম্পত্য জীবন সুখময় করে তোলার জন্য এই বিষয়গুলো জানা একান্ত প্রয়োজন। তাই স্ত্রী গোপন কাজ করেছে কিনা বা অন্য কারো সাথে গোপন সম্পর্ক তৈরি করেছে কিনা এই বিষয়গুলো জানার জন্য আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে।

পরকীয়া এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে। অনেক স্ত্রী আছে যারা এই কাজগুলো করতে দ্বিধাবোধ করেন না। আসলে এই কাজটি অত্যন্ত জঘন্য কাজ। এই কাজটি বোঝার জন্য কিছু উপায় রয়েছে।

• যেকোন বিষয় নিয়ে রাগারাগি করা।
• যৌন মিলনে আগ্রহ না থাকা।
• আপনার কাজকর্ম বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
• যখন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তখন সাজ -পোশাকে পরিবর্তন দেখা যায়।
• যখন ইন্টারনেটে ব্রাউজিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আপনাকে সময় কম দিবে, তখন বুঝবেন অন্য কারো সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
• যখন কারণ ব্যতীত পরিবার কিংবা আত্মীয়-স্বজন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে বা এড়িয়ে চলে তখন বুঝবেন পরকীয়ায় লিপ্ত।

তাই উপরোক্ত লক্ষণগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখলে বুঝবেন স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে।

মেয়ে চেনার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, তার মধ্যে একটি শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনা। শারীরিক গঠন দেখে একটি মেয়ে সম্পর্কে বলা খুব অসম্ভব ব্যাপার না। তাই শারীরিক গঠন দেখে মেয়ে চেনার কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো নিম্নরূপ।

• মুখের আকৃতি যদি একটু লম্বা প্রকৃতির হয় তাহলে তারা একটু খিটখিটে স্বভাবের হয়ে থাকে।
• যেই মেয়ে খুব স্বাস্থ্যবান হয়, সেই মেয়ে সাধারণত শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে।
• মাথার আকৃতি দেখেও মেয়ে চেনা যায়। মাথা লম্বা হলে সেই মেয়ে বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
• যদি কোন মেয়ে পাতলা হয়, তবে তারা সকল কাজকর্মে পেছনে থাকতে বেশি ভালোবাসে।
• যে সকল মেয়েরা খাটো প্রকৃতির, তারা স্বভাবতই যোদ্ধা হয়ে থাকে।

উপরোক্ত লক্ষণ গুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন লক্ষণ দেখেও একটি মেয়ে চেনা সম্ভব। এবং তার সম্পর্কে অনেক কিছু বলা সম্ভব হয়ে ওঠে।

নারীকে মুখ দেখেও চিহ্নিত করা যায় আসলে সে কোন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তবে মেয়েদের মুখ দেখে সহজেই বোঝা যায় মেয়েটা কোন প্রকৃতির। আসুন জেনে নিই মুখ দেখে নারী চেনার কয়েকটি উপায়।

• মেয়েদের মুখ যদি একটু লম্বা প্রকৃতির হয় তাহলে সে মেয়েটা খিটখিটে স্বভাবের হয়ে থাকে।
• ভ্রু থেকে চোখের দূরত্ব যদি বেশি হয় সেক্ষেত্রে মেয়েটা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকে।
• পাশাপাশি দুটি ভ্রূর মাঝখানের দূরত্বটা যদি বেশি হয় তাহলে সে নারীর অনেক সহ্য ক্ষমতা রয়েছে।
• যে মেয়ের ওপরের ঠোট মোটা হয় সে কথাবার্তায় অনেক ভদ্র হয়ে থাকে।
• কোন নারীর যদি চোখের পাতায় কোন প্রকারের ভাঁজ পরিলক্ষিত হয় তাহলে সে নারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করে।

এই উপায় গুলো ছাড়াও দাঁত, নাক ইত্যাদি দেখে সহজেই বোঝা যায় নারী কোন প্রকৃতির।

আসলে ভার্জিন মেয়ে চেনা খুবই কঠিন ব্যাপার। কেননা কোন মেয়েকে দেখে বোঝা যাবে না সে ভার্জিন কিনা। তবে কয়েকটি উপায়ের মাধ্যমে এটা চিহ্নিত করা যায়।

• সহবাস কালে যদি পর্দা ফেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ হয় তাহলে ধরে নেওয়া যায় মেয়েটা ভার্জিন।
• ভার্জিন মেয়ে চেনার আরেকটি উপায় হচ্ছে যোনিপথ কতটা টাইট রয়েছে এটা দেখে।
• যৌন মিলনের সময় যদি খুব ব্যথা অনুভব করে তাহলে বুঝতে হবে মেয়েটা ভার্জিন।

ভালো মেয়ে চেনার উপায়গুলো নিম্নরূপে আলোচনা করা হলো।

• ভালো মেয়ের একটি গুণ হচ্ছে সে কখনো লোভী হবে না। অর্থাৎ যে মেয়ের লোভ কম সেই মেয়ে সংসারে উন্নতি করতে সক্ষম।
• যে মেয়ের মধ্যে কোন অহংকার নেই সে নিঃসন্দেহে ভালো মেয়ে।
• রাগ মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। রাগী মেয়ে কখনোই সংসারে উন্নতি করতে পারে না। তাই যে মেয়ের রাগ নেই তাকে ভাল হিসেবে ধরা যায়।
• ভালো মেয়েরা সব সময় তর্কবিতর্ক থেকে দূরে থাকে।
• যারা হিংসা করে না তারা অনেক ভদ্র হয়ে থাকে।
• পোশাক-আশাকে শালীন হবে। সাধারণত এরা পর্দা করে।
• কখনো উচ্চস্বরে কথা বলে না।
• এরা কখনো টিভি বা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ে না।

বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা বর্তমান সময়ে একটি দুরহ ব্যাপার। সবাই চাই পাত্রী যেন ভালো হয়। কিন্তু এই ভালো পাত্রী বা ভালো মেয়ে খোঁজার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

• ভালো মেয়েদের কখনো অতিরিক্ত বন্ধু-বান্ধব থাকে না। হাতে গোনা গুটি কয়েক বন্ধুবান্ধব থাকে।
• তারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয় এবং কথাবার্তায় ভদ্র হয়।
• এখন আমরা ফেসবুক ছাড়া চলতে পারি না। যখন সময় পাই তখন ব্রাউজিং শুরু করে দেই। কিন্তু ভালো মেয়েরা কখনোই ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়ে না।
• সহানুভূতিশীল নারী কখনো খারাপ হতে পারে না। তাদের মনটা অনেক কোমল প্রকৃতির হয়ে থাকে।
• বিয়ের জন্য ভালো মেয়ে চেনার আরেকটি উপায় হচ্ছে বংশপরিচয় দেখে চেনা। এক্ষেত্রে বাবা মাকে ভালো হতে হবে।
• ভালো মেয়েরা বেপরোয়া ভাবে রাস্তাঘাটে ঘোরাঘুরি করে না। যদি বেপরোয়াভাবে ঘোরাঘুরি করে তাহলে বুঝতে হবে মেয়েটি খারাপ।
• ভালো মেয়ে কিনা সেটা তার পোশাক দেখে বোঝা যায়। কারণ ভালো মেয়েরা কখনোই এমন পোশাক পরবে না, যে পোশাক মানুষ খারাপ বলে।

ভালো মেয়ে চেনার যেরকম কিছু উপায় রয়েছে, ঠিক তেমনি খারাপ মেয়ে চেনারও উপায় রয়েছে। নিম্নোক্ত লক্ষণ গুলো দেখলে বোঝা যাবে যে, মেয়েটি খারাপ।

• এই প্রকৃতির মেয়েরা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। চরিত্র পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়।
• এরা অধিক পরিমাণ কথা বলে এবং তর্কে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।
• কোন মেয়ে যখন উচ্চস্বরে কথা বলে তখন সে ভালো হতে পারে না। কথা বলার সময় খুব উচ্চস্বরে কথা বলে।
• কোন মেয়ে যখন পুরুষের সাথে কথা বলে এবং পুরুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলে সেই মেয়েটি কখনো ভালো হতে পারে না।
• এরা নিজের স্বার্থ উদ্ধারে অন্যের ক্ষতি সাধন করতে দ্বিধাবোধ করে না।
• খারাপ মেয়ে অন্য পুরুষের সাথে গোপন সম্পর্ক তৈরি করে।

উপরের আলোচনার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে খারাপ মেয়ে কোনগুলো এবং ভালো মেয়ে কোনগুলো। আর কোন স্ত্রীর বিবাহের পূর্বে অন্য কারো সাথে সম্পর্ক আছে কিনা তা ওপরের আলোচনায় স্পষ্ট ধারণা পেয়ে গেছেন।

যে মহিলারা পরকীয়ার সাথে সম্পৃক্ত, তারা আসলে সবার আড়ালে থাকতে পছন্দ করে। তবে এদের কিছু লক্ষণ দেখলে বোঝা যায় যে এরা পরকীয়ার সাথে সম্পৃক্ত। যেমন

• কোন নারী যখন, তার স্বামী কি করছে, কোথায় যাচ্ছে ইত্যাদি বিষয়ে খুঁটিনাটি জিজ্ঞাসাবাদ করে তাহলে এটাও পরকীয়ার লক্ষণ।
• কোন মেয়ে যখন পরিবারকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দেয় না, তখন বুঝে নিবেন মেয়েটি পরকীয়ায় লিপ্ত।
• পরকীয়া মহিলারা তারা তাদের রূপচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
• পরকীয়ায় লিপ্ত মহিলাদের চেনার আরেকটি উপায় হচ্ছে, এরা হঠাৎ করে জগিং শুরু করবে।
• পরকীয়া মহিলারা ইন্টারনেটে খুব ব্যস্ত সময় পার করবে। তারা সবসময় একা একা থাকার চেষ্টা করবে।

অবশেষে, এই আর্টিকেলে যে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে তা একজন পুরুষ বা মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কারণ একজন মহিলা বিয়ের আগে অন্য কারো সাথে সম্পর্ক আছে কিনা তা জানা যেমন একজন পুরুষের জরুরী, তেমনি একজন মহিলার পুরুষ সম্পর্কে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন। আসলে এই বিষয়গুলোর কারণে সুখের সংসার ভেঙে যেতে পারে। তাই সুখের সংসার গড়ে তোলার জন্য আমরা এই বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল দেখাবো।

আশা করি উপরের আর্টিকেলটি পড়ে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পেয়ে গেছেন। আর কিভাবে বুঝবো আমার স্ত্রী বিবাহের পূর্বে অন্য কারো সাথে কোন কাজটি করেছে কি না এই বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। আর আশা করি উপরের আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। তাই অন্য জন উপকৃত হতে পারে সেজন্য বেশি বেশি শেয়ার করে দিন।