বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবে কি রোগ ও সমস্যা হয়-কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

আসসালামু আলাইকুম। আজকে ভিটামিনের অভাবে কি কি সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবে কি রোগ ও সমস্যা হয় এবং কোন ভিটামিনের অভাব হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হবে এই আর্টিকেলে। ভিটামিনের অভাব হলে কি কি সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে অনেক ধারণা নেই।
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবে কি রোগ ও সমস্যা হয়
তাই যাদের এই সম্পর্কে ধারণা খুবই কম বা নেই তাদের জন্য এ আর্টিকেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিনের অভাবে কি কি হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়তে হবে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক ভিটামিনের অভাব হলে কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবে কি রোগ ও সমস্যা হয়-কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

ভূমিকা

প্রথমে আমাদের জানতে হবে ভিটামিন কি। ভিটামিন হচ্ছে জৈব খাদ্য যা খাবারে অতি অল্প পরিমাণ থেকে দেহে পুষ্টির চাহিদা সরবরাহ করে থাকে। আর এই ভিটামিনের অভাব হলে দেহের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাব হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এসব ভিটামিনের মধ্যে যেকোনো একটির অভাব হলে দেহে সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

সহজ কথায় বলতে গেলে এই ভিটামিনের বিষয়টা অনেক লোকই ভেবে থাকে। অর্থাৎ তারা ভাবে কোন খাবার খেলে বেশি ভিটামিন পাওয়া যাবে ইত্যাদি বিষয়গুলো তাদের কাছে খুবই প্রাধান্য পেয়ে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন কোন খাবারে কোন ভিটামিন রয়েছে, কি পরিমান ভিটামিন রয়েছে? আবার যে খাবারগুলো গ্রহন করি সেগুলোতে ভিটামিন আছে কিনা সেই বিষয়ে মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে।

তাই এই ভিটামিন গুলোর অভাব হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন গুলোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৭ ইত্যাদি। এই উপরোক্ত ভিটামিন গুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই।

তাই আজকে আমরা এই আলোচনার মাধ্যমে জানবো কোন ভিটামিনের কি কাজ এবং কোন ভিটামিনের অভাবে কি হতে পারে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে। আর একটি বিষয় হচ্ছে এই ভিটামিন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়তে হবে।

ভিটামিন এর উপকারিতা

প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে আমরা জানবো ভিটামিনের উপকারিতা সম্পর্কে। ভিটামিনের উপকারিতা অনেক রয়েছে। কিন্তু এই ভিটামিনের অভাব হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ভিটামিনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যা শরীরে ঘাটতি দেখা দিলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। একেক ভিটামিনের কাজ একেক ধরনের হয়ে থাকে। যেমন ভিটামিন- এ এর অভাব হলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার ভিটামিন সি এর অভাব হলে ত্বকের উপর প্রভাব পড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

তাই এই ভিটামিন গুলো শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তাই যে সকল খাদ্যে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি বেশি রয়েছে সেই খাবারগুলো গ্রহণ করা উচিত। এই ভিটামিন যুক্ত খাবার গুলো খেলে এর অভাবে যে লক্ষণ গুলো দেখা দিত সেগুলো অনেকাংশে কমে যাবে। এছাড়াও ভিটামিন ডি এর অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাছাড়া এর অভাব হলে সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। 
সুতরাং ভিটামিন ডি শরীরের জন্য কতটুকু প্রয়োজনীয় সেটি স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে। এবং ভিটামিন ডি এর উপকারিতা অনেক রয়েছে এই সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই। আবার ভিটামিন বি৯ স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখার ক্ষেত্রে খুবই সাহায্য করে। অন্যদিকে ভিটামিন ই এর উপকারিতা অনেক। ভিটামিন ই চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। এটি ছাড়া ভিটামিন ই এর আরো উপকারিতা রয়েছে। অন্যদিকে ভিটামিন কে এর উপকারিতা অনেক বেশি রয়েছে।

যেমন ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাহলে উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে ভিটামিনের উপকারিতা শরীরের জন্য কতটুকু প্রয়োজনীয়। আর অন্যান্য ভিটামিনের কাজ সম্পর্কে জানতে এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।

ভিটামিন এর অভাবে কি হয়

ভিটামিন শরীরের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। শরীরকে সুস্থ রাখতে ভিটামিনের খুবই প্রয়োজন। আর এই ভিটামিনের অভাব হলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণভাবে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যা গুলি পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে এক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ভিটামিনের কার্যকারিতা ভিন্ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন এক্ষেত্রে ভিটামিন এ এর অভাব হলে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। 
সুতরাং বোঝা যাচ্ছে ভিটামিন এ এর অভাব হলে চোখের ওপর এর প্রভাব পড়ে। তবে যদি ভিটামিন এ এর মাত্রা শরীরে বেশি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত। আবার ভিটামিন বি১২ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে। ফলে ভিটামিন বি১২ এর অভাব হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। 

আবার ভিটামিন বি ১২ কোষ্ঠকাঠিন্য, দুর্বলতা ইত্যাদি প্রতিরোধ করে থাকে। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়

বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। তবে কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায় এটা অনেকে জানে না। শরীর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ জানা একান্ত প্রয়োজন। যেমন ভিটামিন এ এর অভাব হলে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যায়। সেরকম ভিটামিন ই এর অভাব হলে ত্বক শুষ্ক এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও ভিটামিন ই এর অভাবে চুল পড়ে যেতে পারে।

তাই ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাওয়া উচিত। যে খাবারগুলোতে ভিটামিন ই রয়েছে সেগুলো খেলে ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ হয়। তবে এই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। ত্বক সতেজ রাখার ক্ষেত্রে ভিটামিন ই এর আন্টি অক্সিডেন্ট খুবই সাহায্য করে। আর শরীর শুকিয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাবারের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে

অনেকেই ওজন কমাতে চাই। আবার অনেকে আছে যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চাই। তবে আমাদের জানতে হবে কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে বা কমে। বর্তমান সময়ে ওজন কমানোর জন্য অনেকে অনেক কিছু করে থাকেন। অনেকে খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়ে ওজন কমাতে চাই। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় খাবার সঠিক পরিমাণে না খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে ওজন বাড়ানোর জন্য কলাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। অর্থাৎ কলা খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুধু তাই নয় কলাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি যা ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক। কলাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ফাইবার এমনকি খনিজ উপাদানও রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাব হলে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ সহ আরো সমস্যা হয়ে থাকে।
কিন্তু উপরোক্ত খনিজ উপাদান এবং ভিটামিন গুলো শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণে সহায়তা করে থাকে। তবে মোটা হতে চাইলে কিংবা ওজন বাড়াতে চাইলে কলার সাথে দুধ খাওয়া যায়। কারণ দুধে প্রায় সব পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে। তাছাড়া দুধে অনেক বেশি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি১২ রয়েছে। সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে কোন ভিটামিন খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। আশা করি বিষয়টি আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে।

কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়

প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে আমরা জানবো কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় সেই বিষয়ে। অনেকেই জানে না কোন ভিটামিন খেলে ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে। তবে এমন ভিটামিন আছে যার অভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যেতে পারে। তাই ত্বক সুন্দর রাখার জন্য এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। আর সবাই চাই ত্বক সুন্দর করতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে। তবে এমন কিছু ভিটামিন আছে যেগুলো খেলে ত্বক অনেক সুন্দর হয়ে ওঠে।
ভিটামিন সি ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গুলো খেলে ত্বক অনেক সুন্দর হয়। যেমন আঙ্গুর, লেবু, কমলা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি ভিটামিন বি ত্বককে সুন্দর করে তুলতে খুবই কার্যকরী। এজন্য ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার গুলো খাওয়া উচিত। ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে বাদাম, বার্লি ইত্যাদি। এবং সর্বশেষে ভিটামিন ই ত্বকের জন্য খুবই উপকারি।

ভিটামিন ই ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে থাকে। মসৃণ রাখার পাশাপাশি ত্বককে আদ্র রাখতে সহায়তা করে এই ভিটামিন ই। তাই ভিটামিন এই সমৃদ্ধ খাবার গুলো খাওয়া উচিত। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে কাঠবাদাম, সবজির মধ্যে রয়েছে পালং শাক। তবে কোন ভিটামিন খেলে ত্বক সুন্দর হয় এই বিষয়ে ডাক্তারের সঙ্গে বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

মানুষের শরীরে কত ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়

ভিটামিন মানুষের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এই ভিটামিনের অভাব হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন উপস্থিত রয়েছে। এসব ভিটামিনের অভাব হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। মানুষের শরীরে ভিটামিন বি১, বি৫, ভিটামিন বি৬, বি ৯ ইত্যাদি রয়েছে। মানুষের শরীরে প্রায় ১২ থেকে ১৩ টি ভিটামিন থাকতে পারে। 

এগুলোর মধ্যে ভিটামিন বি গ্রুপের আটটি রয়েছে। তাই সুস্থ থাকতে হলে ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা অনেক রয়েছে। আর ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরের দুর্বলতা চলে আসে, ক্লান্তি ভাব চলে আসে। সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম মানুষের শরীরে কত ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়।

কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয়

প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে আমরা জানবো কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় সে সম্পর্কে। ভিটামিনের অভাব হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। একেক ভিটামিনের অভাবে ভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে‌। অর্থাৎ মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হতে পারে। আবার ভিটামিন বি১ এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। অন্যদিকে ভিটামিন বি৬ এর অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও ভিটামিন সি এর অভাবে scurvy রোগ হয়ে থাকে। তাই মানবদেহে এই ভিটামিন গুলোর প্রয়োজনীয়তা অনেক। আবার ভিটামিন ডি এর অভাবে রিকেট রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই ভিটামিন গুলো ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেগুলোর অভাবে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। সুতরাং আমরা উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলাম কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হতে পারে সেই সম্পর্কে।

ভিটামিনের অভাবজনিত লক্ষণ

ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে। ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে তার উপসর্গ গুলো পরিলক্ষিত হয়। যেমন ভিটামিন b3 এর অভাবে পেলেগ্রা রোগ হতে পারে। আমার যদি দেহে ভিটামিন কে এর অভাব হয় তাহলে রক্ত জমাট বাঁধতে দীর্ঘ সময় লাগে।

শেষ কথা

পরিশেষে, উপরের আলোচনায় আমরা জানতে পারলাম বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবে কি রোগ ও সমস্যা হয় সেই সম্পর্কে। এর পাশাপাশি আরো জানলাম কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আবার কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে, আবার কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। 

আশা করি আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হয়েছেন এবং ভিটামিনের সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। তাই এই আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করে দিন যাতে অন্যরা পড়ার সুযোগ পাই। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url