কমলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা-রাতে কমলা খেলে কি হয় জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম। আজকে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে কমলা খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে। কমলা সবাই খেতে পছন্দ করে কিন্তু কমলা খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। তাই কমলার সকল পুষ্টিগুণ সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে এই আর্টিকেলে।
সুতরাং যাদের কমলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা নেই তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর এই কমলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সকলের জানা উচিত। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে
নেওয়া যাক কমলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ কমলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা-রাতে কমলা খেলে কি হয় জেনে নিন
ভূমিকা
কমলালেবু পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি ফল। এটি দেখতে অনেক সুন্দর একটি ফল। বিভিন্ন
ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে এই কমলাতে। শীতের সময় এ কমলা বাজারে প্রচুর
দেখা যায় এবং এই সময় দামে অনেক সস্তা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকে আমরা এর গুরুত্ব
বুঝিনা। যার ফলে এই ফলটিকে আমরা অবহেলা করে থাকি। এই ফলে প্রচুর ভিটামিন সি
রয়েছে। যারা সাধারণত সর্দি কাশিতে ভুগে থাকেন তাদের জন্য এই ফল খুবই উপকারী। যদি
প্রতিদিন কমলা খাওয়া যায় তবে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে বাঁচা যায়।
এমনকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখে এই কমলা। এই কমলা
ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান বিদ্যমান। তার মধ্যে ভিটামিন বি১,
ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। এই ফল দেখতে যেমন চমৎকার
তেমনি খেতে অনেক সুস্বাদু। এটি শুধু খেতে সুস্বাদু নয়, এটিতে প্রচুর
এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
কমলা পুষ্টিতে ভরপুর একটি ফল যা বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। তাই আজকে
এই কমলার সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হবে এই আর্টিকেলে। তাই কমলা
সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানার জন্য এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং
আমাদের সঙ্গে থাকুন। আর নতুন নতুন তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
কমলা খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে আমরা জানব কমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। কমলা খেতে
সবাই পছন্দ করে কিন্তু আপনি কি জানেন কমলা খাওয়ার উপকারিতা কি? যদি জানা না থাকে
তাহলে এই আর্টিকেল আপনার জন্য। চলুন জেনে নিই কমলা খাওয়ার উপকারিতা কি কি রয়েছে
সে সম্পর্কে।
কমলা খাওয়ার উপকারিতা সমূহ নিম্নরূপঃ
- দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে এ কমলা।
- কমলাতে যেহেতু এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে সেহেতু এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- কমলাতে ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ ইত্যাদি রয়েছে যা হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- অনেক সময় শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দেয় । কিন্তু এই কমলা খাওয়ার ফলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এর কমলা।
আরও পড়ুনঃ লিচুর খাওয়ার উপকারিতা
- কমলাতে ভিটামিন এর পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। সেহেতু এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।
- কমলাতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা জয়েন্ট গুলোতে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই কমলা। যেমন: ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি।
- কমলা কিডনিতে পাথর জমা প্রতিরোধ করে থাকে। কমলা কিডনির জন্য খুবই উপকারী একটি ফল।
- কমলাতে যেহেতু ভিটামিন এ রয়েছে সেহেতু এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সুতরাং উপরের আলোচনার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে কমলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। উপরের
উপকারিতা গুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের উপকার হয় এই কমলা খেলে।
কমলার অপকারিতা
ইতিপূর্বে আমরা জেনেছি কমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। এবার জানবো কমলা খাওয়ার
অপকারিতা সম্পর্কে। কমলা খাওয়ার কিছু অপকারিতা রয়েছে যেগুলো বিবেচনা করে কমলা
খাওয়া উচিত। সুতরাং জেনে নেওয়া যাক কমলার অপকারিতা সমূহ কি কি রয়েছে সে
সম্পর্কে।
- ছোট শিশুদের অতিরিক্ত কমলা খাওয়ানো উচিত নয়।
- যদি হার্ট বার্নের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কমলা লেবু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
- আবার অতিরিক্ত কমলা খেলে বুক জ্বালাপোড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- অনেক সময় দেখা যায় অনেকের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। সে সকল ব্যক্তিদের কমলা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ কাঁঠাল খাওয়ার অপকারিতা
- অতিরিক্ত কমলা খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অধিক মাত্রায় কমলা খেলে অনেক অনিদ্রা জনিত সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- এছাড়াও অধিক মাত্রায় কমলা খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক সহ বদহজমের মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট যে, কমলার উপকারিতার পাশাপাশি কিছু
অপকারিতা রয়েছে, যেগুলো কমলা খাওয়ার সময় সতর্কতার সাথে বিবেচনায় রাখতে হবে।
আর যে কোন জিনিস অতিরিক্ত মাত্রায় খেতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ
করা উচিত। এক্ষেত্রে যদি কমলা খাওয়ার ফলে কোন অসুবিধার লক্ষণ দেখা দেয় সেজন্য
খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
কমলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা সবাই কমলা খাওয়ার পর এর খোসা ফেলে দিই। কিন্তু এই খোসাতে রয়েছে অসাধারন
গুনাগুন। এই খোসা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং এর উপকারিতা অনেক।
তাই যাদের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জানা নেই তারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খোসার
উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন জেনে নিই কমলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে।
কমলার খোসার উপকারিতা সমূহ নিম্নরূপঃ
- কমলার খোসা এক কাপ পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি মুখে ব্যবহার করলে ব্রণের দাগ অনেকাংশে কমে যায়।
- অনেকেই রান্নাঘরে ডাস্টবিন ব্যবহার করে। এই ডাস্টবিনে বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলে থাকি। পরবর্তীতে এই ডাস্টবিন থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এই দুর্গন্ধ দূর করার জন্য কমলার খোসা সাহায্য করে থাকে।
- মুখে বিভিন্ন ধরনের দাগ হয়ে থাকে। এই দাগ দূর করার জন্য কমলার খোসার সাথে মসুরের ডাল একসঙ্গে বেটে নিতে হবে। তারপর সেই মিশ্রণটি মুখে ব্যবহার করলে মুখের দাগ অনেক অংশে কমে যায়।
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য কমলার খোসা ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
- অনেকে রোদে ঘুরাঘুরির কারণে ত্বক রোদে পড়ে যায় এই পোড়া দাগ দূর করার জন্য বা পোড়া ভাব দূর করার জন্য কমলার খোসা, হলুদ এবং মধু একসঙ্গে মিশ্রণ করে প্যাক বানিয়ে নিতে হবে। তারপর এই প্যাক মুখে ব্যবহার করলে পোড়া ভাব দূর হয়। কিন্তু মুখে ব্রণ যদি থেকে থাকে তাহলে না ব্যবহার করাই ভালো।
- আমরা অনেকেই জানিনা কমলার খোসা রান্নায় ব্যবহার করা যায়। যদি কমলার খোসা রান্নায় ব্যবহার করা হয় তাহলে স্বাদ এবং গন্ধ বেড়ে যায়।
- অনেক সময় দেখা যায় অনেকের নখ কালচে ভাব হয়ে যায়। এই কালচে ভাব দূর করার জন্য কমলার খোসা দিয়ে ঘষলে এই কালচে ভাব দূর হয়।
সুতরাং উপরের আলোচনা মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে কমলার খোসার উপকারিতা অনেক।
কমলার খোসার অপকারিতা সমূহ নিম্নরূপঃ
প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে জানব কমলার খোসার অপকারিতা সম্পর্কে। ইতিপূর্বে আমরা
জেনেছি কমলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে। কমলার খোসার কিছু উপকারী দিক থাকলেও এর
কিছু অপকারিতা রয়েছে। কিন্তু আমাদের এখন জানতে হবে কমলার খোসার
অপকারিতা সম্পর্কে।
- অধিক মাত্রায় কমলা লেবুর খোসা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- এমন অনেক ক্ষেত্রেও রয়েছে যেগুলোতে কিছু কিছু নিয়ম অনুসারে করে সকল জিনিস খাওয়া উচিত। যদি নিয়ম অনুসারে না খাওয়া হয় তাহলে পেট ব্যাথা হতে পারে।
- যদি অধিক মাত্রায় কমলার খোসা খাওয়া হয় তাহলে বদ হজমসহ বুক জ্বালাপোড়া হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
- যদি হার্ট কিংবা কিডনির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কমলার খোসা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
কমলার পুষ্টিগুণ
কমলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকের জানা নেই। কমলা বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি
ফল। কমলা লেবুতে ভিটামিন ছাড়া বিভিন্ন খনিজ উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। কমলাতে যে
পুষ্টিগুণ রয়েছে তা শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। মানুষের শরীরের জন্য খুবই
প্রয়োজনীয় এই পুষ্টিগুণ। কমলায় রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ তার মধ্যে অন্যতম
হচ্ছে নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, কপার ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে
ভিটামিন সি, ভিটামিন এ। এই ভিটামিন গুলো শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অভাব পূরণ
করে।
আরও পড়ুনঃ কাঁঠালের বিচির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন
শুধু পুষ্টির অভাব নয় দেহের যেকোনো সমস্যার সমাধানে এদের অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
তারপর আরো রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি। এই সব মিলিয়ে অনেক পুষ্টিতে
ভরপুর একটি ফল কমলা। কমলাতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। শীতে অনেকেই পানি কম
পান করে থাকেন। তাই এই কমলা খেলে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ হয়। কমলাতে রয়েছে
প্রচুর আঁশ যা ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করে।
যদি হজম ভালো ভাবে না হয় তাহলে শরীর নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাই হজমশক্তি ঠিকঠাক
রাখতে হবে তাহলে শরীর নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। এছাড়াও আমরা জানি কমলাতে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। সুতরাং আমরা
জানতে পারলাম কমলাতে কি কি পুষ্টি রয়েছে এবং কমলা খেলে কি উপকার পাওয়া যাবে সেই
সম্পর্কে।
কমলা খাওয়ার নিয়ম
কমলা খেতে সবাই পছন্দ করে থাকে। কমলা দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতে অনেক সুস্বাদু
হয়ে থাকে। কমলা খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়। আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি
কমলাতে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে। আর কমলা খাওয়ার উপকারিতা কি সেটাও জেনেছি। তবে
কমলা খাওয়ার অপকারিতার চেয়ে উপকারিতা অনেক বেশি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর
অপকারিতা দেখা যায়। যদি অতিরিক্ত পরিমাণ সেটি খাওয়া হয় তাহলে একটু সমস্যার
সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ঘি খাওয়ার নিয়ম কি জেনে নিন
কমলালেবু যখন তখন খাওয়া উচিত নয়। যেমন কমলা লেবু রাতে খাওয়া মোটেই উচিত হবে
না। এটি খাবার ৩০ মিনিট আগে কিংবা পরে খাওয়া উচিত। যেহেতু কমলা লেবু ভিটামিন সি
এবং ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল সেহেতু এটি খাওয়ার আগে খেলে ক্ষুধা বাড়াই এবং হজম
ক্রিয়া সাহায্য করে থাকে। তবে কমলা কখন খেতে হবে, কি পরিমান খেতে হবে ইত্যাদি
বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী কমলা খেতে পারেন।
কমলা খেলে কি ঠান্ডা লাগে
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে কমলা খেলে ঠান্ডা লাগে কিনা। কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর
জানার আগে জানতে হবে কমলালেবুর গুনাগুন ও উপকারিতা সম্পর্কে। কমলালেবু ভিটামিন
এবং মিনারেলে ভরপুর একটি ফল। শুধু পুষ্ট গুণে ভরপুর নয় এটি শরীরের জন্য খুবই
উপকারী একটি ফল। যেহেতু কমলালেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল সেহেতু এটি সর্দির
ক্ষেত্রে অনেক উপকারী। তবে কমলা লেবু খেলে বা কমলা খেলে ঠান্ডা লাগে কিনা সে
বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ
করুন।
কমলা লেবুতে কোন এসিড থাকে
আমরা এবার জানব কমলা লেবুতে কি ধরনের এসিড থাকে। আমরা অনেকেই জানি না কমলা লেবুতে
কি এসিড থাকে। তাই এ আলোচনা মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কমলা লেবুতে কি কি এসিড
রয়েছে সে সম্পর্কে। কমলা দেখতে যেমন চমৎকার তেমনে খেতে অনেক সুস্বাদু। এতে
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। কি কি ভিটামিন এবং খনিজ
উপাদান রয়েছে তা আমরা উপরের আলোচনায় জেনেছি।
আরও পড়ুনঃ লিচুতে কোন এসিড থাকে জেনে নিন
তাই উপরের অংশটুকু ভালোভাবে পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন। আর কমলা লেবুতে তিন ধরনের
এসিড থাকতে পারে। এগুলোর মধ্যে হচ্ছে সাইট্রিক এসিড, অ্যাসকরবিক এসিড এবং ম্যালিক
এসিড। তাহলে বন্ধুরা জানতে পারলেন কমলা লেবুতে কি কি এসিড থাকতে পারে। আর এরকম
নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
কমলার খোসা চুলের যত্নে
আমরা শুধু কমলা খেয়ে কমলার খোসা ফেলে দিই। কিন্তু এই খোসাতে রয়েছে অসাধারণ কিছু
গুনাগুন। যে গুনাগুন সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্যবহৃত
তেলে কমলার রস কিংবা কমলার খোসার গুঁড়া মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তবে
এক্ষেত্রে সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে চুল বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা
উচিত।
কমলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন
কমলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন এই বিষয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এই বিষয়
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে উপরের অংশটুকু ভালো ভাবে পড়তে হবে। আর এই বিষয়ে
পদক্ষেপ নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
শেষ কথা
পরিশেষে, আমরা উপরোক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারলাম কমলা খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে। এর পাশাপাশি আরও জানলাম কমলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে এবং কমলাতে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে, কমলা খাবার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে।
উপরের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কমলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন এবং
উপকৃত হয়েছেন।
তাই আশা করি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করে দিন।
আর এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। ধন্যবাদ