কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম। আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের বিষয় হচ্ছে কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। কিডনি যেহেতু শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সেহেতু এই কিডনি সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। কিডনির কি রোগ হতে পারে এবং কিডনি রোগের প্রতিকার কি কি এগুলো জানা অত্যন্ত প্রয়োজন।
তাই কিডনির কি কি রোগ হতে পারে এবং কি লক্ষণ দেখলে বোঝা যাবে কিডনি রোগ হয়েছে
ইত্যাদি বিষয়গুলো এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। তাই চলুন জেনে নিই কিডনি রোগের
লক্ষণ ও প্রতিকার গুলো কি কি রয়েছে। আর এই সকল বিষয়গুলো জানতে হলে শেষ পর্যন্ত
আর্টিকেলটি পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
ভূমিকা
কিডনি শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বর্তমানে কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি
পাচ্ছে। আর এই কিডনি আক্রান্ত হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যেমন হৃদরোগ, উচ্চ
রক্তচাপ, অতিরিক্ত ধূমপান ইত্যাদি বিষয়গুলোর কারণে কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
আর এই কিডনি রোগ হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হয়। যেমন চলাফেরা
খাবার ইত্যাদি বিষয়ে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।
তাছাড়া এই সময় শরীরের বিভিন্ন
রকম সমস্যা দেখা দেয়। এমন কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ রয়েছে যেগুলো দেখলে বোঝা যায়
কিডনি রোগ হয়েছে। তাই শরীরের এই অংশটি সুস্থ আছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সুতরাং কিডনিকে সুস্থ রাখা খুবই প্রয়োজন।
কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ
কিছু কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দ্বারা কিডনি রোগ সনাক্ত করা যায়। কিন্তু এই
লক্ষণগুলো সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই অথবা বুঝতে পারে না যে এগুলো কিডনি রোগের
লক্ষণ বা উপসর্গ। চলুন জেনে নিন কিডনি রোগের কিছু প্রাথমিক লক্ষণ গুলো
সম্পর্কে।
- শরীরের সকল বর্জ্য পদার্থ বের করার ক্ষেত্রে কিডনি সাহায্য করে থাকে। কিন্তু কিডনি রোগ হলে এই কাজে সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে ত্বকে চুলকানি এবং খসখসের মত রোগ দেখা দেয়।
- কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে ফুলে যাওয়া একটি অন্যতম লক্ষণ বা উপসর্গ।
- প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া প্রাথমিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি।
আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ
- দুর্বলতা কিডনি রোগের প্রাথমিক একটি লক্ষণ। কিডনি রোগ হলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়।
- কিডনি রোগের আরও একটি লক্ষণ হচ্ছে প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন।
- ঘন ঘন প্রস্রাব কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়। এমনকি প্রস্রাবের সাথে সাথে রক্ত বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সুতরাং উপরোক্ত লক্ষণ গুলোকে কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে কিডনি রোগের সমস্যা দেখা দিলে
অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ
এমন কিছু কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ
হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণগুলো কি কি তা জানা
একান্ত প্রয়োজন। চলুন জেনে নিন দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো কি কি।
- অনেক সময় ঘুমের সমস্যা হয়।
- ভ্যাস্কুলাইটিস।
- শ্বাসকষ্ট।
- প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া।
- বমি।
- যৌনতায় অক্ষমতা প্রকাশ পাওয়া।
- পানি পান করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া।
- ক্লান্তি অনুভব করা।
- ওজন কমে যাওয়া।
- ঠান্ডা অনুভব করা।
উপরোক্ত লক্ষণগুলো বা উপসর্গ গুলো ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ রয়েছে যেগুলো
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই উপরোক্ত লক্ষণ গুলো
প্রকাশ পেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে আমরা জানবো কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো কি কি এবং এর প্রতিকার
সম্পর্কে। চলুন প্রথমে জেনে নিই কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহঃ
প্রথমদিকে কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো তেমন বোঝা যায় না। যখন কিডনির কার্যক্ষমতা
কমতে শুরু করে তখন এই লক্ষণগুলো আস্তে আস্তে প্রকাশ পায়। এই সময় বিভিন্ন ধরনের
উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। যেমন যখন কেউ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয় তখন আস্তে আস্তে
শরীরের ওজন কমতে শুরু করে। আবার শরীরের কিছু কিছু অংশ ফুলে যাওয়া। এমনকি
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া।
কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে প্রস্রাবের সাথে সাথে
রক্ত বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও খাবারের প্রতি অনীহা কমে যাবে এবং
রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। শারীরিক দুর্বলতা অনুভব হবে পাশাপাশি তলপেটে ব্যথা
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায় সেগুলো
সম্পর্কে জানতে এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আর এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে
অবশ্যই ডাক্তারের বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুনঃ পুরুষাঙ্গের রোগ ও প্রতিকার
প্রতিকার সমূহ নিম্নরূপঃ
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা একান্ত প্রয়োজন। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
- যাদের শরীরের ওজন অনেক বেশি তাদের ক্ষেত্রে ওজন হ্রাস করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
- লবণ খাওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই রয়েছে। এই অতিরিক্ত লবণ কিডনির জন্য অনেক ক্ষতিকর।
- কিডনি রোগের প্রতিকারের মধ্যে একটি অন্যতম প্রতিকার হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
- পুষ্টিকর খাবার গুলো খেতে হবে। কারণ শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবার একান্ত প্রয়োজন।
- ধূমপান,মদ্যপান পরিহার করা উচিত। কারণ ধূমপান বা মদ্যপান করলে কিডনি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- চর্বি জাতীয় খাবার গুলো পরিত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি সুষম খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে।
- অনেকের প্রস্রাব আটকে রাখার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু এই অভ্যাস দূর করতে হবে।
সুতরাং আশা করি কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
আর কিডনি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ
করুন।
কিডনি রোগের কারণ
কিডনি রোগ কি কারণে হয় এটা আমরা অনেকেই জানিনা। এই কিডনি রোগের পিছনে বিভিন্ন
কারন রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নিই কিডনি রোগের কারণ গুলো কি কি হতে পারে সেই
সম্পর্কে।
- কিডনি রোগের একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা। এমন অনেকেই রয়েছে যারা অধিক পরিমাণে পানি পান করতে চায় না।
- অনেকেই রয়েছে যারা যে কোন ব্যথাতেই ব্যাথা নাশক ওষুধ গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা এই ব্যথা নাশক ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই ঔষুধ শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি সাধন করে থাকে।
- ধূমপানের কারণে কিন্তু কিডনি রোগ হতে পারে। তাই ধুমপান পরিহার করুন এবং সুস্থ থাকুন।
- ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগ হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক। অর্থাৎ এগুলো কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
- অতিরিক্ত লবণ খেলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অতিরিক্ত লবণ কিডনির ক্ষতি সাধন করে থাকে।
- প্রস্রাব আটকে রাখা এই বদ অভ্যাসটা আমাদের অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু প্রস্রাব আটকে রাখলে কিডনির সমস্যা হতে পারে।
উপরোক্ত কারণগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে কিডনির ক্ষতি হতে
পারে। উপরোক্ত কারণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়
কিডনি যেহেতু শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বা অংশ। তাই এই কিডনি সুস্থ রাখা খুবই
প্রয়োজন। আর এই শরীরের বিভিন্ন অংশকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন সুষম খাবার, পরিমিত
বিশ্রাম ইত্যাদি। কিডনি রোগ হওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণ রয়েছে যা উপরে আলোচনা
করা হয়েছে। এই কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই
প্রথমে আমাদের জানতে হবে কিডনি ভালো আছে কিনা সেটা।
আরও পড়ুনঃ পরিবারের অশান্তি দূর করার উপায়
কিন্তু এই কিডনি ভালো আছে কিনা সেটা বুঝার জন্য কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে বা পরীক্ষা
রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে সহজে বুঝতে পারবেন কিডনি ভালো আছে কিনা। দুটো পরীক্ষার
মাধ্যমে সহজেই বোঝা যাবে কিডনির অবস্থান। অর্থাৎ কিডনি ভালো আছে না খারাপ আছে এই
বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে। ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন এর মতে, ACR এবং GFR এই দুটো
পরীক্ষা করালেই বোঝা যাবে কিডনি ভালো আছে কিনা।
কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
কিডনির সমস্যা হলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে শরীরের
কিছু কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলোতে ব্যথা হয়। পাঁজরের নিচের দিকে ব্যথা হতে পারে।
এছাড়াও বুকে ব্যথা হতে পারে। তবে এই ব্যথা স্থান পরিবর্তন করতে পারে। পিঠে ব্যথা
হওয়ার পাশাপাশি তলপেটেও ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ সকল লক্ষণগুলো প্রকাশ
পাওয়া মাত্রই দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
কিডনি ব্যথা দূর করার উপায়
অনেকেই কিডনির সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই কিডনি ব্যথা দূর করার জন্য কিছু উপায়
অবলম্বন করলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রচুর পানি খাওয়া যেতে পারে।
কিডনি ব্যথা দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। অধিক
পরিমাণে বিশ্রাম নিলে কিডনি ব্যথা থেকে অনেক আরাম পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি
ব্যথার স্থানে গরম সেঁক দিতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্যথা থেকে অনেক আরাম পাওয়া যায়।
তবে যেকোনো কিছু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ছোট বাচ্চার কান্না থামানোর উপায়
কিডনি রোগ কি ভাল হয়
কিডনি রোগ ভালো হয় কিনা এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। কিডনি রোগের ক্ষেত্রে
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা উচিত।
কিডনির জন্য ক্ষতিকর খাবার
এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো কিডনির পক্ষে ক্ষতিকর। যেমন ধূমপান বা মদ্যপান এটি
কিডনির পক্ষে অনেক ক্ষতিকর একটি উপাদান। এছাড়াও আমরা অনেক সময় পানির পরিবর্তে
কোল্ড ড্রিঙ্কস বা কোমল পানীয় খেয়ে থাকি। এই খাবারগুলো কিডনির অনেক ক্ষতি সাধন
করতে পারে। আর যে কোন ব্যথা নাশক ঔষধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী খেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মিষ্টি খেলে কি ডায়াবেটিস হয়
আবার যে খাবারগুলো অধিক প্রোটিনযুক্ত সেগুলো কিডনির জন্য অনেক ক্ষতিকর। এছাড়াও
প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত লবণ, মাংস ইত্যাদি খাবার গুলো কিডনির জন্য ক্ষতির
কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর কিডনি রোগের সমস্যা থাকলে যে কোন কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।
কিডনির জন্য উপকারী খাবার
এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত যে খাবার গুলো কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কারণ
কিডনি শরীরের এমন একটি অংশ যেটি সুস্থ রাখা একান্ত প্রয়োজন। তাই খাবার গ্রহণ
করার আগে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যে খাবারগুলো উপকারী সেগুলো খেতে হবে।
স্ট্রবেরি এমন একটি খাবার যাতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি। স্ট্রবেরির
পাশাপাশি ব্লুবেরি অনেক উপকারী খাবার।
কিডনির জন্য মাছ অনেক উপকারী একটি খাদ্য। এছাড়াও লাল আঙ্গুর, রসুন, পেঁয়াজ
ইত্যাদি খাবার গুলো কিডনির জন্য অনেক উপকারী। তবে যে কোন খাবার গ্রহণ করার আগে
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে।
শেষ কথা
অবশেষে, কিডনি যেহেতু শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, সেহেতু কিডনিকে সুস্থ
রাখার ক্ষেত্রে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। আরো জানতে পারলাম কিডনি রোগের প্রাথমিক
লক্ষণ গুলো কি কি, কিডনির ব্যথা দূর করার কিছু উপায় ইত্যাদি বিষয়
সম্পর্কে।
তাই আশা করি কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন এবং এই
আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আর আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই
শেয়ার করে দিন এবং নতুন নতুন তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। সুস্থ
থাকুন, ভালো থাকুন।