আপনি কি জানেন মেয়েরা কিভাবে ছেলেদের প্রেমে পড়ে

কি কারনে মেয়েরা ছেলেদের প্রেমে পড়ে এই বিষয়টি সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জ্ঞান আহরণ করতে চান বা পরিষ্কার ধারণা পেতে চান । তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন।

প্রেম হচ্ছে এমন একটা বিষয়, যা অনুভূতির মাধ্যমে প্রকাশ করতে হয়। যখন একটা মেয়ে একটা ছেলের প্রেমে পড়ে তখন সেই ছেলের প্রতি সেই মেয়ের একটি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। যখন একটি মেয়ে ছেলের প্রেমে পড়ে তখন সেই ছেলের সকল খারাপ বা বদ অভ্যাসগুলো সুদৃষ্টিতে বিবেচনা করে। কিন্তু বিষয় হচ্ছে যে মেয়েরা কিভাবে ছেলেদের প্রেমে পড়ে এবং কি কৌশলে ছেলেদের সাথে সম্পর্ক বা বন্ধুত্ব তৈরি করে তা বোঝা।

ভালো কিংবা মন্দ অভ্যাস নিয়ে একজন মানুষের বেড়ে ওঠা।একটা মেয়ে যখন একটা ছেলের প্রেমে পড়ে তখন সে এগুলো বিবেচনায় রাখে। এবং ভালো অভ্যাস গুলোর কারণেই সে সেই ছেলেটিকে পছন্দ করা শুরু করে। তাই আজকে এই পোস্টে উপরোক্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

মেয়েদের ভালোবাসা প্রকাশের ভঙ্গি ভিন্ন রকম। ভালোবাসাটা মেয়েরা সরাসরি প্রকাশ করতে পারে না। আচার-আচরণের মাধ্যমেও সে তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ভালোবাসা প্রকাশ করার এটি একটি মাধ্যম। যখন আপনার কথা সে গুরুত্বসহকারে শুনবে।। আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধা ভক্তি বেড়ে যাবে। তখন বুঝতে পারবে সে আপনাকে পছন্দ করে।। ধরুন, আপনি তাকে বললেন চলো আজকে দুজন মিলে কফি খাব। দেখলেন মেয়েটি রাজি হয়ে খুব সাজগোজ করে এসেছে। শুধু আজকে নয় অন্যদিনও যদি কোন জায়গায় ঘুরতে যান তাহলে দেখবেন মেয়েটি সেদিনও খুব সাজগোজ করেছে। অর্থাৎ আপনার যেকোনো কাজ, যে কোন সিদ্ধান্ত তার কাছে ভালো লাগবে। এটি একটি ভালোবাসার প্রকাশের লক্ষণ।

যদি আপনি কোন মেয়ের সুনাম করেন বা তার প্রতি দুর্বলতা দেখান। তাহলে দেখবেন আপনার সামনের মেয়েটার মুখ হাসিখুশি আর থাকবে না। তখন আপনাকে যা ইচ্ছে তাই বলে দিবে। এক্ষেত্রেও মেয়েটির ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যদি মেয়েটি আপনাকে বলে আমাকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিবেন? যদি মেয়েটি এরকম প্রস্তাব করে সেক্ষেত্রে নিশ্চিত মেয়েটি অবশ্যই ভালোবাসে।যখন একটি মেয়ে কোন ছেলেকে ভালোবাসে তখন মেয়েটি খুব আনন্দের মধ্যে থাকে। এক্ষেত্রে ভালোবাসা পরিলক্ষিত হয়। যখন কোন মেয়ে আপনাকে ভালোবাসবে তখন আপনার বিপদে সে অবশ্যই ছুটে আসবে। তাহলে অবশ্যই জেনে গেছেন যে,মেয়েরা কিভাবে ছেলেদের প্রেমে পড়ে।

কাউকে প্রথমবার দেখামাত্রই পছন্দ হয়ে যেতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই পছন্দ হওয়ার জন্য অনেক সময় লেগে যায়। তবে ভালোবাসা আসলে কোনটি তা অনেক লক্ষণ উপলব্ধি করার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন। আর এই প্রেমে পড়ার লক্ষণগুলো হলো-

• সাজগোজঃ ধরুন, আজকে আপনি মেয়েটা কি বললেন আজকে দুজনে মিলে কফি খাবেন। যদি আপনার প্রস্তাবে মেয়েটির ও সম্মতি রয়েছে। এবং দেখবেন সে অনেক সাজগোজ করে এসেছে। শুধু আজকে নয় যেকোনো সময় যেকোনো দিন মেয়েটি আপনার কথাই রাজি হয়ে যায়। এটি একটি প্রেমে পড়ার লক্ষণ।
• চুলে ঘন ঘন হাত দেওয়াঃ যখন আপনি মেয়েটিকে নিয়ে কোন ফাঁকা জায়গায় বসে আছেন। যদি মেয়েটি আপনার কাছে আসার চেষ্টা করে এবং সাথে গল্প করার সময় মেয়েটি ঘনঘন চুলে হাত দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বুঝতে পারবেন মেয়েটি আপনার প্রেমে পড়েছে।
• ঘুরতে যাওয়াঃ মেয়েটির পক্ষ থেকে যদি এরকম প্রস্তাব আসে যে, বাইরে কোথাও বেরিয়ে আসি। তাহলে বুঝবেন মেয়েটি প্রেমে পড়েছে।
• হাসি খুশিঃ আপনি এমন কথা বলছেন যে কথার মধ্যে কোন আনন্দ নেই বা কেউ সেই কথাই হাসে না। কেউ না হাসা সত্বেও দেখলেন মেয়েটি সেই কথাই খুব হাসছে।এটিও একটি প্রেমের লক্ষণ।
• রাগ করাঃ যদি মেয়েটির সামনে আপনি অন্য মেয়ের প্রতি দুর্বল দুর্বলতা দেখান বা সুনাম করেন । তাহলে আপনার সামনের মেয়েটি সেই মেয়েটির প্রশংসা দেখে খুব রেগে গেছে এবং রাগের মাথায় সে আপনাকে অনেক কিছু বলে দিয়েছে। তাহলে বুঝবেন আপনাকে সে ভালোবাস।

মেয়েরা কিভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকে তা নিম্নোক্ত উপায়গুলোর মাধ্যমে বোঝা যাবে।

• আপনাকে বেশি বেশি শ্রদ্ধা করবে।
• আমার সকল কথা সে মনোযোগ সহকারে শুনবে।
• ফোন করে আপনাকে বিরক্ত করা শুরু করবে। এমনকি আপনাকে মিসকল দিতে পারে।
• মেয়েটি ঘন ঘন দেখা করার ইচ্ছা পোষণ করবে।
• বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে চাইবে।
• আপনার কাছে আসার চেষ্টা করবে।
• কোন কারন ছাড়াই রাগ করবে।

একটি মেয়ে তখনই আপনাকে ভালবাসবে যখন আপনি মেয়ের চাওয়া-পাওয়া গুলোকে প্রাধান্য দিবেন। যখন আপনি কোন মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট হবেন,তখন সেই মেয়েটিকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য কিছু উপায় অনুসরণ করতে হবে। যেমন:

• আশাবাদী হওয়াঃ একটি মেয়ে আপনাকে হঠাৎ করে ভালবাসবে এমন নয়। আপনাকে ঘৃণাও করতে পারে। এমন কিছু সময় আছে যা মেয়েটির মনে আপনার প্রতি নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে আশা না হারিয়ে নিজেকে একজন আশাবাদী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন।
• কথোপকথনঃ একটি মেয়েকে ভালোবাসার জন্য আপনাকে কথাবার্তায় স্মার্ট হতে হবে। যখন আপনি মেয়েটির সাথে কথা বলবেন তখন মানসম্পন্ন কথা বলুন এবং অযৌক্তিক কথোপকথন থেকে বিরত থাকুন।
• সম্মান করাঃ কারো কাছে ভালোবাসা পেতে হলে তাকে যথাপযুক্ত সম্মান দিতে হবে।
• নিজেকে সহজলভ্য না করাঃ নিজেকে যখন খুব সহজলভ্য করে তুলবেন তখন আপনার প্রতি নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য নিজেকে সহজলভ্য করে তুলবেন না। তাহলে এটি আপনার প্রতি ভালোবাসা তৈরি করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
• মনোযোগ দেওয়াঃ যদি আপনি মেয়েটির প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারে, তাহলে সেই মেয়ে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে। তখন যে সময়টুকু তার সাথে থাকবেন , সে সেই সময়টুকু আনন্দের সাথে উপভোগ করবে।
• নিরাপদ বোধ করাঃ মেয়েদের ভালবাসা পেতে হলে তাকে অবশ্যই নিরাপদ মনে করতে হবে।
• বিশ্বস্তঃ বিশ্বস্ততা মেয়েদের ভালোবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি হাতিয়ার। তার প্রতি বিশ্বাস সৃষ্টি করুন।

উপরোক্ত বিষয়গুলো পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে কি করলে মেয়েরা আপনাকে ভালবাসবে। 

আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসে কিনা তা পরীক্ষা করতে পারেন। এই ভালোবাসা যাচাই করার জন্য কিছু উপায় রয়েছে। সেই উপায়গুলো নিয়েই আজকে বিস্তারিত বলবো। উপায় গুলো হচ্ছে-

• কথার মূল্যায়ন করাঃ যখন দেখবেন কেউ আপনার কথাগুলোর খুব মূল্য দিচ্ছে, তখন বুঝবেন সে আপনাকে অবশ্যই ভালোবাসে। যখন দেখবেন কথাগুলো তার কাছে মূল্যহীন বা মূল্যায়ন করছে না, তখন বুঝতে পারবেন সে আপনাকে ভালোবাসে না। যদি ভালোবাসা সত্যিকারের হয় তাহলে সে কথাগুলো মূল্য দিবে । এমন কি কথার প্রতি উত্তর করবে।
• যত্ন নেওয়া বা খোঁজখবর নেওয়াঃ যদি সত্যিকারের ভালবেসে থাকে, তাহলে সে আপনার খুব যত্ন নেবে এবং আপনাকে শ্রদ্ধাও করবে। ঘনঘন পরিবারের খোঁজখবর নিবে।
• প্রশংসা করাঃ যদি ভালোবেসে থাকে তাহলে আপনার খুব প্রশংসা করবে।
• টাকার পরীক্ষাঃ টাকা পয়সা দিয়েও ভালোবাসা পরীক্ষা করা যায়। আপনার প্রিয় মানুষটির প্রচুর অর্থ ব্যয়ের প্রবণতা আছে কিনা বা টাকা পয়সা সঞ্চয় করার মনোভাব আছে কিনা তা দেখাটা খুব প্রয়োজনীয়।
• আকাঙ্ক্ষাঃ আপনার জীবন যে সবসময় সুখের হবে এমনটি নয় । আপনার জীবনে দুঃখ আসতে পারে। এই দুঃখের সময় যদি আপনার প্রিয় মানুষটি আপনার পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দেয় কিংবা কিভাবে তা মোকাবেলা করা যায় সেটি আপনাকে শেখায়। তাহলে বুঝবেন আপনাকে ভালোবাসে।
• পরিবারের সদস্যদের সাথে ভালো ব্যবহারঃ যদি দেখেন আপনার ভালবাসার মানুষটি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ভালো ব্যবহার করছে। পরিবারের সকল সদস্যের খুব যত্ন নিচ্ছে। এক্ষেত্রেও প্রকৃত ভালোবাসা বোঝা যায়।
• অসুস্থতার সময় পরীক্ষাঃ একটি জিনিস অবশ্যই লক্ষ্য করে দেখবেন যে, ছোটবেলায় আপনি যখন অসুস্থ হয়ে পড়তেন তখন বাবা-মা নিঃস্বার্থভাবে সেবা করে যেতেন। ঠিক তেমনি প্রকৃত ভালোবাসা বোঝা যাবে তখনই যখন আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। কারণ যে আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসে সে কখনোই আপনার অসুস্থতার সময় ছেড়ে যেতে পারে না। আপনি যখন অসুস্থ হয়ে যাবেন তখন সে অনেক বিচলিত হয়ে যাবে। অনেক চিন্তিত হয়ে পড়বে।
• ক্ষমা করাঃ ক্ষমা করে দেওয়াটাও ভালোবাসা পরীক্ষার মধ্যে পড়ে। কারণ আপনি যখন ভুল করবেন, তখন একমাত্র ভালবাসার মানুষের পক্ষেই সেটি ক্ষমা করা সম্ভব।
• বিশ্বাসঃ বিশ্বাস দিয়েও ভালোবাসা পরীক্ষা করা যায়। কারণ যে আপনাকে ভালবাসবে সে অবশ্যই আপনাকে অনেক বিশ্বাস করবে।

একটি সংসারে বসবাস করার সময় দুজন ব্যক্তির মধ্যে ঝগড়া হতেই পারে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ছোট ঝগড়া থেকে বড় ঝগড়ার রূপ নেই। তখন সম্পর্কের মধ্যে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এই সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য কিছু উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে। এই উপায় গুলো দেখে নিন-

• যখন দেখবেন আপনার সঙ্গী তার ইচ্ছেমতো কাজ করছে না। তখন আপনার রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তখন খারাপ ব্যবহার করা শুরু করেন। এর কারণে দুজনের মধ্যে ঝগড়াও হয়। এরকম ক্ষেত্রে তার সাথে ভালো ব্যবহার করুন এবং বুঝিয়ে বলুন। তাহলে পরবর্তীতে সে এরকম আর করবে না এবং সম্পর্কও ভালো থাকবে।
• যখন দেখবেন কোন বিষয় নিয়ে এক মত হওয়া যাচ্ছে না। তখন সে বিষয়টি কি তা বোঝার চেষ্টা করুন। তাহলে মতের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হবে না এবং সম্পর্ক ভালো থাকবে।
• দুজনেরই চাওয়া পাওয়া গুলো একে অন্যের সাথে ভাগাভাগি করে নেন। তাহলে দেখবেন সম্পর্কটা অনেক ভালো থাকবে।
• একে অন্যের ভুল ধরা থেকে বিরত থাকুন।কারণ এটি সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে বড় হাতিয়ার। তাই একে অন্যের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করুন। তাহলে সম্পর্ক ঠিক থাকবে।
• সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য মাঝেমধ্যেই আপনার সঙ্গীকে উপহার দিতে পারেন। এতে করে সে অনেক খুশি হয়।
• সঙ্গের কাজগুলোকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করুন। তার কষ্টগুলোকে সহজেই মেনে নিন। সঙ্গীর প্রশংসা করতে শিখুন।

আসলে একটা মেয়ে যখন একটা ছেলের প্রেমে পড়ে তখন মেয়েটি ছেলেটির কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ দেখেই প্রেমে পড়ে। আসলে মেয়েরা ছেলেদের কি দেখে বা মেয়েরা কিভাবে ছেলেদের প্রেমে পড়ে তা এই পোষ্টের মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিন।