সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা-সকালে ঘুম থেকে না উঠলে কি হয়
আসসালামু আলাইকুম। আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার
উপকারিতা সম্পর্কে। আসলে এই বিষয় সম্পর্কে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। আসলে
সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে অনেক উপকার হয় এ সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। তাই
আজকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
তাই যাদের উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে ধারণা নেই তাদের জন্য এই আর্টিকেল খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। যাদের মনে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে তারা এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়লে
বুঝতে পারবেন সকালে ওঠার উপকারিতা কি কি রয়েছে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক
উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা-সকালে ঘুম থেকে না উঠলে কি হয়
ভূমিকা
এমন ব্যক্তি রয়েছে যারা রাতে দেরি করে ঘুমাতে যায় এবং সকালে অনেক সময় পর্যন্ত
ঘুমিয়ে থাকে। আর এমন ব্যক্তি কর্ম ক্ষেত্রে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ তাদের
কাছে সময় অনেক কমে যায়। আর সকাল সকাল উঠলে হাতে প্রচুর সময় থাকে। তাই সকালে
ওঠার উপকারিতা বলে শেষ করার নয়। অর্থাৎ খুব সকালে উঠলে এর উপকারিতা অনেক। অনেক
মানুষ রয়েছে যারা খুব সকালে উঠে। অবশ্য যারা খুব সকাল সকাল উঠে তাদের কাছে সকালে
ওঠার উপকারিতা অবশ্যই জানা রয়েছে। যারা খুব সকালে উঠে তারা খুব সকাল সকাল কাজ
শুরু করতে পারে। তারা সময়টা অনেক বেশি পাই।
যারা খুব সকালে উঠে তারা অন্যান্যদের তুলনায় খুব সক্রিয় থাকে। আর যারা সকালে
উঠে তাদের মন খুব সতেজ থাকে। আর বিশেষ করে সকালের বাতাস খুব বিশুদ্ধ থাকে। অনেক
সময় দেখা যায় যারা সকালে উঠে জগিং করে কিংবা খুব ভোরে বারান্দায় বসে থাকে তারা
এই বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করার সুযোগ পাই। তাছাড়া খুব সকাল সকাল উঠলে মস্তিষ্কের
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে যাই। অনেক সময় দেখা যায় অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা
কর্মক্ষেত্রে খুব তাড়াহুড়ো করে।
কিন্তু খুব সকালে উঠলে এই তাড়া কমে যায়। আর সকালে উঠলে মন ও শরীর দুটোই ভালো
থাকে। মানসিকভাবে প্রশান্তি এনে দেয়। আর দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে অলসতা বৃদ্ধি
পাই। কর্মক্ষেত্রে কাজ করার মান-মানসিকতা কমে যায়। তাই সকালে ওঠার অভ্যাস করে
তুলি এবং সুস্থ থাকি। আর সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা সম্পর্কে আরো
বিস্তারিত জানতে চাইলে এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠার শারীরিক উপকারিতা
প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে আমরা জানবো সকালে ঘুম থেকে ওঠার যে সকল শারীরিক উপকারিতা
রয়েছে সে সম্পর্কে। অবশ্য সকালে ঘুম থেকে উঠলে অনেক শারীরিক উপকারিতা রয়েছে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার বিশেষ কিছু উপকারিতা মনে রাখার মত। সকালে ঘুম থেকে উঠলে
কর্মক্ষেত্রে কাজের গতি বৃদ্ধি পেয়ে যায়। এছাড়াও যারা সকালে দ্রুত ঘুম থেকে
ওঠেন তারা কর্মক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করেন না। তাদের কাছে পর্যাপ্ত সময় থাকে। আর
যারা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন তারা কর্মক্ষেত্রে কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
তাদের অন্যান্যদের তুলনায় অলসতা বেড়ে যায়। পক্ষান্তরে যারা খুব সকাল সকাল ঘুম
থেকে উঠে তারা অন্যান্যদের তুলনায় খুবই সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। তারা দ্রুততার
সাথে কাজ সম্পাদন করে।
আরও পড়ুনঃ কমলা খাওয়ার উপকারিতা
যারা দেরিতে ঘুম থেকে উঠে তাদের তুলনায় যারা দ্রুত সকালে ঘুম থেকে উঠে তাদের
পারদর্শিতা অনেক বেশি। তারা যে কোন বিষয়ের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আরেকটি
বিশেষ উপকারিতা হচ্ছে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা যায়। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে
জগিং করলে শরীর মন উভয়ই সুস্থ থাকে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে সকালে ঘুম থেকে ওঠার
অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই উপকারিতা গুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই আমরা সকালে
ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলি।
সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা
সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা অনেক রয়েছে। কিন্তু এই উপকারিতা
সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। সকালে ঘুম থেকে ওঠার ফলে দেহ-মন দুটোই ভালো থাকে।
এছাড়া সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার জন্য হাতে প্রচুর সময় পাওয়া যায়।
তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক উপকারিতা গুলো সম্পর্কে।
- সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে কাজের জন্য প্রচুর সময় পাওয়া যায়।
- সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর কাজের তাড়া কমে যায়।
- যারা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে তাদের পারদর্শিতা অনেক বেশি হয়।
- খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- খুব সকালের বাতাস বিশুদ্ধ থাকে বিধায় তুলানামূলকভাবে সকালের বাতাস বিশুদ্ধ পাওয়া যায়।
- খুব সকাল সকাল উঠলে কাজের প্রতি চাপ অনেকাংশে কমে যায়।
- খুব সকাল সকাল উঠা মানে দ্রুত বা খুব কম সময়ে ঘুমিয়ে পড়া। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
- যারা খুব সকালে উঠে তাদের তুলনায় যারা দেরিতে ঘুম থেকে উঠে তারা খুব অলস হয়।
- যারা সাধারণত চাকরি করেন তারা ঠিক সময় মতো অফিসে পৌঁছাতে পারেন।
সুতরাং বোঝা যাচ্ছে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা অনেক রয়েছে। সকাল
সকাল ঘুম থেকে উঠলে শরীর সুস্থ থাকে।
সকালে ঘুমানোর অপকারিতা
প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে আমরা জানবো সকালে ঘুমানোর অপকারিতা সম্পর্কে। আসলে সকালে
ঘুমের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা রয়েছে। যে সকল ব্যক্তি সকলে ঘুম থেকে
উঠে তারা বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করতে পারে। আর যারা সকালে অনেক সময় পর্যন্ত
ঘুমিয়ে থাকে তারা এই নিয়ামত ভোগ করতে পারে না। যারা দেরিতে ঘুম থেকে উঠে তারা
অলস হয়ে যায়। অর্থাৎ তাদের মধ্যে অলসতা কাজ করে। অনেকে মনে করে বেশি ঘুমালে
শরীর সুস্থ থাকে। কিন্তু আসলে এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। বেশি ঘুমালে স্বাস্থ্যের
জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যারা দিনের বেলায় অধিক সময় ধরে ঘুমায় তাদের
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ জেনে নিন
আর সাধারণভাবে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া এবং সকাল সকাল ওঠা এটি স্বাস্থ্যের
জন্য খুবই উপকার। আর সকালের ঘুম আপনার বরকত নষ্ট করে দিতে পারে। আসলে ফজরের
নামাজের পর অতিরিক্ত ঘুমানো এটি একটি খারাপ অভ্যাস। সকালে অনেকক্ষণ পর্যন্ত
ঘুমিয়ে থাকলে তাদের কাছে দিনটি ছোট হয়ে যায়। কাজের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করে,
তাদের কাছে সময় খুবই কম মনে হয়। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে সকালে দেরিতে উঠলে কি কি
ক্ষতি হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘুমালে কি ক্ষতি হয়
শরীর সুস্থ রাখার জন্য ঘুম প্রয়োজন। কেউ বেশি ঘুমাতে পছন্দ করে আবার কেউ কম
ঘুমাতে পছন্দ করে। শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য ঘুমের প্রয়োজন। কম ঘুমের
কারণেও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে আবার বেশি ঘুমের কারণেও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে
পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন ৭-৮ ঘন্টা
ঘুম হলে ভালো হয়। এর বেশি ঘুম বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যারা অতিরিক্ত পরিমাণ ঘুমায় তাদের ক্ষেত্রে
স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও যদি অতিরিক্ত পরিমাণ ঘুমানো হয় তাহলে
কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে যাই। এর ফলে শরীরে চর্বি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং
হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। যদি অতিরিক্ত পরিমাণ ঘুম হয় তাহলে বিষন্নতা দেখা
দেয়।
অতিরিক্ত ঘুম আপনাকে নিষ্প্রাণ করে তুলবে। উপরোক্ত ক্ষতিগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন
ধরনের ক্ষতি হতে পারে। যেমন অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে কোমর ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা
দেখা দেয়। অনেককেই দেখা যায় মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন। আসলে অতিরিক্ত
ঘুমের কারণে এই সমস্যা হতে পারে। তাই শরীর সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম
প্রয়োজন।
বেশি ঘুমালে কি মোটা হয়
বেশি ঘুমালে মোটা হয় কিনা এই বিষয়টি সবারই জানা উচিত। আসলে সবার ধারণা বেশি
ঘুমালে মানুষ মোটা হয়ে যায়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে কম ঘুম মোটা হওয়ার
অন্যতম কারণ। অর্থাৎ যারা কম পরিমাণ ঘুমান তাদের ক্ষেত্রে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা
অনেক বেশি। কিন্তু অনেকের ধারণা বেশি ঘুমালে মানুষ মোটা হয়ে যায়, ভুড়ি বেড়ে
যায় ইত্যাদি। অনেকে মনে করেন বেশি ঘুমানোর ফলে দেহে চর্বি জমে যায়। আমরা উপরের
আলোচনার মাধ্যমে জেনেছি বেশি ঘুমালে কি ক্ষতি হতে পারে। আর খুব তাড়াতাড়ি সকালে
ঘুম থেকে উঠলে কি কি উপকার পাওয়া যায় এই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
তাই আমাদের পর্যাপ্ত বা পরিমাণ মতো ঘুমানো উচিত। ঘুমের ক্ষেত্রে কম বেশি হয়ে
গেলে সেক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আর দেহে যদি চর্বি জমে যায় তাহলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সুস্থ
থাকতে হলে পরিমাণ মতো ঘুমানো উচিত।
দুপুরে ঘুমালে কি ওজন বাড়ে
প্রিয় পাঠক এখন আমরা জানবো দুপুরে ঘুমালে ওজন বাড়ে কিনা। অনেকে মনে করে দুপুরে
ঘুমালে ওজন বাড়ে আবার অনেকের ধারণা এর বিপরীত। কিন্তু অনেকের ধারণা দিবানিদ্রা
একটি ভালো অভ্যাস। অর্থাৎ এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যদি ঘুমের পরিমাণ
খুব কম হয় সেটা শরীরের জন্য খুব উপকার। আর যদি দীর্ঘ সময় ঘুমানো হয় তাহলে সেটি
স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুনঃ আখের গুড় খেলে কি ওজন বাড়ে
তাই শরীর চাঙ্গা করার জন্য দুপুরে খাবার পর একটু বিশ্রাম নিতে পারেন। তবে এই
ঘুমের কিছু উপকারী দিক রয়েছে। যেমন: যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা ৩০
মিনিট ঘুমিয়ে নিলে অনেক ভালো হয়। অনেক সময় শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই দুপুরে
খাওয়ার পর দশ থেকে বিশ মিনিট বিশ্রাম নিলে শরীর চাঙ্গা হয়ে যায়। ফলে কাজে
মনোনিবেশ করা যায়।
দুপুরে ঘুমানোর উপকারিতা
দুপুরে ঘুমানোর উপকারিতা রয়েছে অনেক। অনেকে দুপুরে ঘুমাতে পছন্দ করে। আবার অনেকে
মনে করে এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তবে দুপুরে ঘুমানোর কিছু উপকারিতা
রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে জানলে ধারণা পাল্টে যাবে। গবেষণায় দেখা গেছে দুপুরে
ঘুমানোর ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। আবার যদি ঠিকঠাক মতো ঘুম না হয় তাহলে শরীর
অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু দুপুরের খাবার পর কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিলে
মন ও মেজাজ উভয়েই চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তবে যাদের ডায়াবেটিকস, হরমোনের সমস্যা
রয়েছে তাদের জন্য এই ঘুম উপকারী হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ সকালের রোদের উপকারিতা
অনেক সময় দেখা যায় কাজ করতে করতে কাজের মাঝে অনেক ক্লান্তি চলে আসে। যার ফলে
ঠিকঠাক মতো কাজ সম্পাদন করা যায় না। কিন্তু দুপুরের খাবারের পর ১০ থেকে ২০ মিনিট
বিশ্রাম নিলে ক্লান্তি ভাব দূর হয় এবং কাজে মনোনিবেশ করা যায়। এরকম আরো বিভিন্ন
ধরনের উপকার হয় দুপুরে ঘুমানোর ফলে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঠিক সময়
আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি সকালে ঘুম থেকে উঠার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা সম্পর্কে।
অর্থাৎ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়ে থাকে। আর সুস্থ থাকতে
হলে অবশ্যই সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা উচিত। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে বিভিন্ন ধরনের
রোগ ব্যাধি থেকে দূরে থাকা যায়। আর সকালে ওঠার একটা নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সেই
সময়টি হচ্ছে ৫-৫:৩০ এর মধ্যে। আসলে সকালে কখন ঘুম থেকে উঠতে হয় এই বিষয়
সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। অর্থাৎ সকালে ওঠার সঠিক সময় কোনটি এটি অনেকে জানে
না। সুতরাং এই আলোচনার মাধ্যমে জেনে গেলেন সকালে ওঠার সঠিক সময় কোনটি।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। আমাদের রাত জেগে থাকার অভ্যাস
অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু এটি মোটেই ভালো নয়। সবার উচিত রাতে খুব তাড়াতাড়ি
ঘুমাতে যাওয়া। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর ক্ষেত্রে যে উপকারিতা গুলো পাওয়া
যায় সেগুলো হচ্ছেঃ
- যদি রাতে ভালো ঘুম হয় তাহলে আপনার বিষন্নতা কেটে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- এমনকি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
- মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেকটাই ভালো ঘুমের উপর নির্ভর করে।
উপরোক্ত উপকারিতা গুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের উপকার হয় তাড়াতাড়ি ঘুমানোর
ফলে। সুতরাং রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করে তুলতে হবে।
লেখকের মন্তব্য বা শেষ কথা
পরিশেষে, আমরা উপরের আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলাম সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে
উঠার উপকারিতা সম্পর্কে। এর পাশাপাশি আরো জানলাম সকালে ঘুম থেকে না উঠলে কি ক্ষতি
হতে পারে সে সম্পর্কেও। তাই খুব সকালে ঘুম থেকে উঠুন এবং সুস্থ থাকুন। আশা করি এই
আর্টিকেল পড়ে অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন।
যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করে দিন এবং নতুন
নতুন তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ার
জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।