ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা-ডাবের শাসের উপকারিতা

আসসালামু আলাইকুম। আজকে এই আর্টিকেলে ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি আলোচনা করা হবে ডাবের শাঁসের উপকারিতা সম্পর্কে। ডাবের পানির উপকারিতা অনেক রয়েছে। কিন্তু ওপরের বিষয়বস্তু সম্পর্কে অনেকের জানা নেই।
ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা-ডাবের শাসের উপকারিতা
তাই যাদের উপরের বিষয় সম্পর্কে জানা নেই তাদের জন্য এই আর্টিকেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং উপরের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে হলে এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা-ডাবের শাসের উপকারিতা

ভূমিকা

ডাব একটি অতি পরিচিত ফল। এই ফলের উপকারিতা অনেক রয়েছে। এই ডাবের পানি পান করলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। আর গরমকালে এই ডাবের পানির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। ডায়রিয়া কিংবা কলেরা রোগীদের ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এই সময় দেহে পানি এবং খনিজ পদার্থের অভাব হয়। তবে রোগীদের ডাবের পানি খাবার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। এর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে ডাবের পানি। এই ডাবের পানিতে বিভিন্ন ধরনের উপাদানের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস ইত্যাদি। দেহে যদি আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে এই ডাবের পানি এই ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।

আবার যদি প্রস্রাবের সমস্যা হয় তাহলে এই ডাবের পানি পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে এর উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের অ্যালার্জি, কিংবা সর্দি-কাশি রয়েছে তাদের ডাবের পানি খাওয়া মোটেই উচিত হবে না। তবে এই অবস্থায় ডাবের পানি খেতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। সুতরাং এই আর্টিকেলে ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। তাই এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে আলোচনা করা হবে ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। ডাবের পানির উপকারিতা রয়েছে অনেক। কিন্তু উপকারিতার পাশাপাশি এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা সকলের প্রয়োজন। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে।
ডাবের পানির উপকারিতা সমূহ নিম্নরূপঃ
  • ডাবের পানি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করার ক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • ডাবের পানি খেলে মনে প্রশান্তি এনে দেয়।
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং সুস্থ ও সতেজ রাখে।
  • ফাইবার থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এই ডাবের পানি।
  • দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • যেহেতু ডাবের পানিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম সেহেতু এটি হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • আবার ত্বকের জন্য ডাবের পানি খুবই উপকারী। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি, এ।
  • ব্যায়াম করার পর এই ডাবের পানি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কারণ ডাবের পানিতে রয়েছে প্রোটিন যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
  • ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ডাবের পানি।
  • অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘামার ফলে অনেক পানি বের হয়ে যায়। শরীরের এই পানি শূন্যতা পুরণ করতে সাহায্য করে এই ডাবের পানি।
  • ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক শর্করা এবং মিনারেল রয়েছে। যার ফলে শরীর শীতল ও আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
  • ডাবের পানিতে ফাইবার রয়েছে যা পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
ডাবের পানির অপকারিতা সমূহ নিম্নরূপঃ
ডাবের পানির উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা রয়েছে যা ডাবের পানি পান করার সময় বিবেচনায় রাখতে হবে। কিন্তু এর যে ক্ষতিকর দিক রয়েছে এ সম্পর্ক অনেকে ধারণা নেই। তাই এই পর্যায়ে জেনে নেব ডাবের পানির অপকারিতা কি কি রয়েছে সে সম্পর্কে।
  • অতিরিক্ত ডাবের পানি খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
  • যেহেতু ডাবের পানিতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। সেহেতু এটি ডায়াবেটিস সহ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু এগুলোর পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তাহলে ডায়াবেটিক সহ উচ্চ রক্তচাপের ভারসাম্য হারিয়ে যেতে পারে। তাই ডাবের পানি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
  • ডাবের পানি যেমন কিডনির উপকার করে, আবার কিডনি রোগীদের জন্য এটি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কিডনি রোগীদের ডাবের পানি পান করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পান করা উচিত।
  • অন্যদিকে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা ডাবের পানি খাবার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে ডাবের পানি পান করুন।
সুতরাং উপরোক্ত বিষয়গুলোতে ডাবের পানি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে ডাবের পানি পান করা উচিত। আর যে কোন সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় মা ও সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য অধিক সচেতন হতে হবে। এর জন্য খাওয়া দাওয়াই বিশেষ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় খেলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। তবে গর্ভাবস্থায় যেকোনো জিনিস খাবার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে খাওয়া উচিত। তবে গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খেলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। ডাবের পানি শিশুর মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে।
গর্ভাবস্থায় ব্লাড প্রেসার এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি খুবই উপকারী। আবার গর্ভাবস্থার সময়ে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। তখন এই সময় নিজেকে অনেকটা দুর্বল মনে হতে পারে। এই সকল সমস্যা সমাধানে ডাবের পানি খুবই কার্যকরী। আবার এই অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দেখা দিতে পারে। এই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ অনেকাংশে দূর করতে সাহায্য করে এই ডাবের পানি।

গর্ভাবস্থায় পানি শূন্যতা দেখা দিলে পানি শূন্যতা পূরণে সাহায্য করে ডাবের পানি। এই ডাবের পানিতে ক্যালসিয়াম সহ ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। এই উপাদানগুলো শরীরের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। সুতরাং দেখা যাচ্ছে গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা অনেক। তবে গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাবার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
অপকারিতাঃ ডাবের পানির উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা রয়েছে যা অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটি জিনিসের ভালো এবং মন্দ দুটোই থাকাই স্বাভাবিক। তাই এ অবস্থায় ডাবের পানি খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে তা জানার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাবার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

কচি ডাবের পানির উপকারিতা

কচি ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে। কিন্তু কচি ডাবের পানির উপকারিতাও অনেক রয়েছে। ডাবের পানিতে পটাশিয়াম থাকার কারণে এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডাবের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান হয়। আমরা উপরের আলোচনায় জেনেছি ডাবের পানিতে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। এগুলোর উপস্থিতি রয়েছে বলে ডাবের পানি ভ্রুণের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। 
এছাড়া ডাবের পানি ওজন কমাতে সাহায্য করে। শর্করার উপস্থিতি খুবই কম যার কারণে ওজন বাড়ে না। আবার এই ডাবের পানি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এই ডাবের পানি পান করলে উপকার পাওয়া যায়। পাশাপাশি এই ডাবের পানি সরাসরি মুখে ব্যবহার করলেও ত্বকের অনেক উপকার পাওয়া যায়। উপরোক্ত উপকারিতা গুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায় এই ডাবের পানি পান করলে।

ডাবের শাসের উপকারিতা

ডাবের পানির যেরকম অনেক উপকারিতা রয়েছে, ঠিক তেমনি ডাবের শাঁসের উপকারিতাও অনেক রয়েছে। ডাবের শাঁসে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। এই ডাবের শাঁস একটু তৈলাক্ত প্রকৃতির। এই তৈলাক্ত পদার্থ হৃদযন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। অনেকেই এই ডাবের শাঁস খেতে অপছন্দ করে। অনেকেই শুধু পানিটুকু খেয়ে ফেলে দেয়। তবে যদি এই ডাবের শাসের উপকারিতা সম্পর্কে জানা থাকে তাহলে আপনি আর ডাবের শাঁস ফেলে দিবেন না। কারণ ডাবের শাসে অনেক পুষ্টি রয়েছে।

ডাবের শাঁসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আবার এই ফাইবার থাকার কারণে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ত্বককে ভালো রাখার ক্ষেত্রে ডাবের শাঁসের উপকারিতা কম নয়। পাশাপাশি ডাবের শাঁসের ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে ডাবের শাঁসের উপকারিতা অনেক এবং এটি বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর।

খালি পেটে ডাবের পানির উপকারিতা

আমরা উপরের আলোচনায় ডাবের পানির উপকারিতার পাশাপাশি ডাবের শাসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। আর ডাবের পানির উপকারিতা অনেক রয়েছে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। খালি পেটে ডাবের পানি খেলে বিভিন্ন ধরনের উপকার মিলে। এই ডাবের পানি শরীরের জন্য খুবই কার্যকর একটি উপাদান। এই ডাবের পানি পান করার ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। অর্থাৎ শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। শরীরকে আদ্র রাখতে এবং পানি শূন্যতা দূর করতে ডাবের পানি পান করা উচিত।
শরীরকে আর্দ্র রাখতে ডাবের পানি খুবই উপকারী। আবার অনেকে শরীরচর্চা করার সময় ঘামের মাধ্যমে অনেক পানি বের হয়ে যায়। এছাড়াও খেলাধুলা করলে শরীর ঘেমে পানি বের হয়। আবার খুব গরমে শরীর ঘেমে যায়। এই সকল ক্ষেত্রে ডাবের পানি পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে খালি পেটে ডাবের পানি পান করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম

ডাবের পানি খাওয়ার পূর্বে কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করা উচিত। বাজারে অনেক কচি ডাব কিনতে পাওয়া যায়। সচরাচর এ ডাবগুলো আমরা বাজার থেকে কিনে সেগুলো কেটে চুমুক দিয়ে খেয়ে ফেলি। তবে সব থেকে সহজ উপায় হচ্ছে চুমুক দিয়ে পান করা। তবে ডাবের পানি এবং শাঁস দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই দুটো উপাদানই শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে।

ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে আমরা জানবো ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। অনেক সময় দেখা যায় মুখে বিভিন্ন ধরনের দাগ তৈরি হয়। মুখে ব্রণ সহ কালো কালো দাগ হয় যা বিড়ম্বনা তৈরি করে। কিন্তু এই দাগ দূর করার জন্য ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে ডাবের পানি মুখে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার ফলে ত্বক অনেক উজ্জ্বল এবং দেখায় মসৃণ দেখায়। আবার এই পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার ফলে মুখে যদি কালো দাগ থাকে তাহলে তা পরিষ্কার হয়ে যায়।
আবার অনেকের মুখে ব্রণ দেখা যায়। এই ডাবের জল দিয়ে মুখ ধৌত করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এছাড়াও অনেকের চোখের নিচে কালো দাগ হয়ে থাকে। এই কালো দাগ দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে ডাবের পানি খুবই কার্যকরী ফলাফল এনে দেয়। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে ডাবের পানির উপকারিতা অনেক। আর উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে ডাবের পানি ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের বা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

শেষ কথা

পরিশেষে, ডাবসহ ডাবের পানি, ডাবের শাঁস সকল উপাদানই খুবই উপকারী। আর এই আর্টিকেলে আমরা সহজেই জানতে পারলাম ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এর পাশাপাশি আরও অন্যান্য বিষয়ে জানতে পারলাম। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন। যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করুন।

আর নতুন নতুন তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url