আমের মুকুল আসার পর করনীয়-আম গাছে মুকুল না আসার কারন
  আসসালামু আলাইকুম। আজকে একটু ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনা করা হবে। আলোচনার বিষয় হচ্ছে
  আমের মুকুল আসার পর করণীয় কি রয়েছে সেই বিষয়ে। আমের জন্য আমের মুকুল একটি
  গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমের গাছে আমের মুকুল আসার পর অনেক করণীয় রয়েছে। করণীয়
  গুলো কি সে সম্পর্কে অনেক ধারণা নেই।
  তাই আমের মুকুল আসার পর করণীয় গুলো সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। তাই করণীয় গুলো
  কি কি সে সম্পর্কে জানতে হলে এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়তে হবে। চলুন জেনে নিই
  করণীয় গুলো সম্পর্কে এবং আমের গাছে মুকুল না আসার কারণ সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ আমের মুকুল আসার পর করনীয়-আম গাছে মুকুল না আসার কারন
ভূমিকা
  পাকা কিংবা কাঁচা আম সবার কাছেই পছন্দের একটি ফল। যখন গাছে গাছে আমের মুকুল ধরে
  তখন চারিদিকে ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে। আমের মুকুলের ঘ্রাণে মন বিমোহিত হয়ে যাই। সেই
  ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু এই আমের ফলন নির্ভর করে
  আবহাওয়ার উপর। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে ভালো ফলন আশা করা
  যায়। যখন চারিদিকে গাছে গাছে মুকুল দেখা যায় তখন চোখ জুড়িয়ে যায়। তবে
  বিভিন্ন কারণে এই আমের মুকুল ঝরে যেতে শুরু করে। তখন আমের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা
  দেখা যায়। আর এই মুকুল ঝরার পিছনে বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকে।
  এই কারণগুলো যদি চিহ্নিত করা না যায় সে ক্ষেত্রে অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে
  পারে। কারণগুলো চিহ্নিত করে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মুকুল
  আসার পর থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু হয়ে যায়। আর এই সময় সঠিকভাবে
  যত্ন নিতে না পারলে আমের ফলন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই সময়
  গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে এবং সেচের
  যথোপযুক্তভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 
  সুতরাং মুকুল আসার পর করনীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে এই
  আর্টিকেলে। তাই আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকুন এবং জেনে নিন সেই সকল করণীয়
  সম্পর্কে।
আমের মুকুল আসার পর করনীয়
  প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে আমরা জানবো আমের মুকুল আসার পর করনীয় কি। আমের মুকুল
  আসার পর অনেক করণীয় রয়েছে। বিশেষ করে লক্ষ্য রাখতে হবে আমের মুকুলের প্রতি।
  কারণ মুকুল আসার পর ফুল ফোটার সময় এক ধরনের পোকা এই ফুল থেকে রস চুষে নেয় । এই
  রস চুষে নেওয়ার পরবর্তীতে দেখা যায় ফুলটি শুকনো হয়ে ঝরে পড়ে যায়। এই সময়
  আমার কাছে স্প্রে করতে হবে। তবে স্প্রে করার সময় অনুমোদিত যে কোন কীটনাশক
  ব্যবহার করলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এই স্প্রে করার ফলে পোকা গুলো মারা
  যায়। কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে মুকুলের ফুল যদি বেশিরভাগ ফুটে যায় সেক্ষেত্রে
  স্প্রে করলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 
আরও পড়ুনঃ গলায় কিছু আটকে গেলে করণীয়
  আরো বিশেষ লক্ষ্য করতে হবে গাছে পানির অভাব যেন না হয়। অর্থাৎ মুকুল আসার পর
  গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিতে হবে। কারণ পানি শূন্যতা দেখা দিলে মুকুল
  ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গাছের গোড়ায় পানি দেওয়ার ফলে শিকড় পর্যাপ্ত
  পরিমাণ রস পাই। ফুল থেকে যখন গোল গোল দানার মত হবে তখন আরেকবার স্প্রে করতে হবে।
  যখন গোল গোল দানার মত হবে তখন পোকার আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে পোকা
  রস চুষে নেবার সম্ভাবনা রয়েছে।
  যখন গোল গোল থেকে একটু বড় আকার ধারণ করে তখন বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। তখন পানির
  যেন অভাব না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। আর যখন আম গাছে মুকুল আসে তখন কৃষি
  বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা উচিত। তাদের পরামর্শ
  অনুযায়ী প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাহলে এক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাওয়া
  সম্ভব।
আম গাছে স্প্রে করার নিয়ম
  আম একটি জনপ্রিয় ফল হিসেবে পরিচিত। আম খেতে সবাই পছন্দ করে। কাঁচা মিঠা আম মুখে
  পানি এনে দেয়। আমের মধ্যে অনেক ধরনের আম রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাকে ধারণা
  নেই। আমরা হয়তোবা গুটি কয়েক আমের নাম জানি। এই আমের প্রথম সূচনা হয় আমের মুকুল
  থেকে। আমরা যদি আমের ভালো ফলন পেতে চাই তাহলে সে ক্ষেত্রে কিছু করণীয় রয়েছে।
  এজন্য সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে হবে। সেচের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা
  থাকতে হবে। তবে এই স্প্রে করার জন্য কিছু অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে
  পারে। তবে আগে কোন কীটনাশক ব্যবহার করবেন সেটি আগে নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে
  কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। 
আরও পড়ুনঃ কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম
  আর আমের গাছে স্প্রে করার সময় পাতার উপরে এবং নিচে উভয় পাশেই যেন স্প্রে হয়
  সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। স্প্রে সঠিকভাবে করতে না পারলে কীটনাশক সব জায়গায়
  পৌঁছাতে পারবে না। এজন্য স্প্রে করার কাজটি গুরুত্ব সহকারে করতে হবে। তবে কিভাবে
  স্প্রে করলে ভালো হবে এবং কোন কীটনাশক স্প্রে করলে গাছের জন্য ভালো হবে সেটি কৃষি
  বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে আমের ফলন অধিক হওয়ার
  সম্ভাবনা রয়েছে।
আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি
  আমা গাছে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। শুধু সার ছিটিয়ে দিলে
  আম গাছে সার প্রয়োগ সঠিকভাবে হয় না। এই সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি
  অবলম্বন করে সার প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে নিতে
  হবে। অর্থাৎ গাছের শাখা প্রশাখা যে পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে সেই পর্যন্ত গাছের
  গোড়ার মাটি আলগা করে নিতে হবে। তারপর সেই মাটি আলগা করার পর সঠিক পরিমাণে সার
  দিতে হবে। এক্ষেত্রে আগে সার নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কম্পোস্ট সার, গোবর,
  টিএসপি, ইউরিয়া ইত্যাদি সারগুলো প্রয়োগ করা যেতে পারে।
  এক্ষেত্রে আপনাকে কৃষিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী গাছে
  সার প্রয়োগ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তবে ছোট কিংবা বড় গাছে একই পরিমাণ
  সার দিলে হবে না। গাছ ভেদে সারের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। তাই কৃষিবিদের পরামর্শ
  অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং ভালো ফলাফল লাভ করুন।
আম গাছে সার দেওয়ার সময়
  আম হচ্ছে ফলের রাজা। আর এই আমের ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার উপর। আবহাওয়া যদি
  প্রতিকূলে চলে যায় তাহলে আমের ফলন কমবেশি হতে পারে। আর যদি অনুকূলে থাকে তাহলে
  সেক্ষেত্রে বেশি ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর আমের ফলন বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে
  গাছের পরিচর্যা করতে হবে। তাই সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণ সার প্রয়োগ সহ সেচের
  ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর যদি আমের মুকুল ঝরে যায় সে ক্ষেত্রে ফলন হ্রাস পাওয়ার
  সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর এই আম সংগ্রহের পর সাধারণত গাছের ডালপালা ছেঁটে দিলে
  ভালো হয়, যাতে করে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো বাতাস পাই। 
  অনেকেই দেখা যায় আম সংগ্রহের পর এই গাছের ডালপালা কেটে দেয়। তবে সার দেওয়ার
  একটা নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। এই সময়টা হচ্ছে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর এর মধ্যে।
  অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে এবং অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে সার
  প্রয়োগ করলে ভালো হয়। আর আমের মুকুল আসার পর কিছু পোকা আমের মুকুলের ক্ষতি করে
  থাকে। এই পোকা দমনের জন্য স্প্রের ব্যবস্থা করতে হবে। এই স্প্রের জন্য অনুমোদিত
  কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বেগুন গাছের রোগ ও প্রতিকার
  আর এই স্প্রে করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সকল শাখা প্রশাখা, কাণ্ড, পাতা, মূল
  সব জায়গায় স্প্রে হয়। আর আমের গাছে কখন স্প্রে করতে হবে আর কখন সার দিতে হবে
  সেই বিষয়ে কৃষিবিদের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কি পরিমান
  সার দিতে হবে কখন দিতে হবে কিভাবে দিতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ করে ব্যবস্থা
  গ্রহণ করতে হবে।
আম গাছে সার প্রয়োগের পরিমান
  শুধু ধান খেতে কিংবা অন্যান্য ফসলে সার প্রয়োগ করলে হবে না এক্ষেত্রে আম গাছে
  সার প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে। তবে আম গাছে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু
  নিয়মকানুন রয়েছে। আম গাছে কিভাবে সার দিতে হবে, কখন দিতে হবে, কি পরিমাণ দিতে
  হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। তবে গাছ ভেদে সারের পরিমাণ কম বেশি
  হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গাছ লাগানোর প্রথম বছরে ইউরিয়ার পরিমাণ ১৬০ গ্রাম, এর সাথে
  ফসফেট ২৫০ গ্রাম এবং ১২৫ গ্রাম পটাশ দিলে ভালো হয়। গাছ বড় হলে সারের পরিমাণ
  বাড়াতে হয়। 
  এছাড়াও জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। মাটি যেন শুকিয়ে না
  যায় সেদিকে নজর দিতে হবে এবং পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যদি মাটির রস
  শুকিয়ে যায় সেক্ষেত্রে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সব দিকে বিবেচনা করে
  সঠিকভাবে সার প্রয়োগ করতে হবে।
আম গাছের পরিচর্যা
  গাছের পরিচর্যা এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। ফলন বেশি পেতে হলে গাছের
  পরিচর্যা আবশ্যক। এক্ষেত্রে গাছের চতুর্দিকে নালা কেটে সেখানে জৈব সার ও
  রাসায়নিক সার একত্রে মিশিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ মাটির সাথে এই সারগুলো ভালোভাবে
  মিশিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও গাছের চারদিকে যে আগাছা জন্মে সেগুলো পরিষ্কার করতে
  হবে। বিশেষ করে বর্ষার পরবর্তী সময়ে গাছের চতুর্দিকে কিছু ঘাস জন্মে। এই ঘাসগুলো
  পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার করার পর গাছের চারদিকে সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে
  বর্তমানে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ব্যাপক বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ লাউ এর পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানুন
  যতদূর সম্ভব রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। সার
  প্রয়োগের পর সেচেের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এতে করে শিকড়
  পর্যাপ্ত পরিমাণ রস গ্রহণ করতে পারবে। আর ভালোভাবে গাছের পরিচর্যা করতে চাইলে
  কৃষিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কৃষিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী গাছের পরিচর্যা
  করতে পারেন।
জানুয়ারি মাসে আম গাছের পরিচর্যা
  জানুয়ারি মাস থেকেই আম গাছের পরিচর্যা শুরু করতে হবে। কারণ জানুয়ারির শেষ দিকে
  আমের গাছে মুকুল আসা শুরু করে। তাই সেই জানুয়ারি মাস থেকেই আমের গাছে পরিচর্যা
  শুরু করা প্রয়োজন। আর পরিচর্যা না করলে বাড়তি ফলন আশা করা যায় না। তাই বাড়তি
  ফলনের জন্য পরিচর্যা একান্ত প্রয়োজন। মুকুল আসলে সেই সময় স্প্রে করা খুবই
  প্রয়োজন। তবে কিভাবে স্প্রে করতে হবে কি পরিমাণ স্প্রে করা প্রয়োজন সে বিষয়ে
  কৃষিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। আর আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে মুকুল ফুটে
  গেলে স্প্রে করার দরকার নেই। কারণ সে সময় স্প্রে করলে পরাগায়নে সমস্যা হয়। তাই
  খুব সতর্কতার সাথে কৃষিবিদের পরামর্শ নিয়ে গাছের পরিচর্যা শুরু করতে হবে।
বারোমাসি আম গাছের পরিচর্যা
  প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে আলোচনা করা হবে বারো মাসি আম গাছের পরিচর্যা নিয়ে। তাই
  যদি বারো মাসি আম গাছের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয় এটা জানতে হলে এই আর্টিকেল
  সম্পন্ন পড়তে হবে। তাই বারো মাসি আম গাছের পরিচর্যা বিষয়ে জানতে হলে একটু
  গুরুত্ব সহকারে নিচের অংশটুকু পড়ুন। তাহলে আপনি বারোমাসি আম গাছের পরিচর্যা
  বিষয়ে ধারণা পাবেন। বিভিন্ন জাতের বারো মাসি আম গাছ রয়েছে। আপনি যেকোনো একটি
  বারোমাসি আমগাছ নির্বাচন করুন। 
আরও পড়ুনঃ বাঁধাকপিতে কোন ভিটামিন থাকে
  তবে এই বারোমাসি আম গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে একটু মাটির দিকে নজর দিতে হবে। অর্থাৎ
  দোআঁশ মাটি হলে বেশি ভালো হয়। তবে অন্য মাটিতে রোপন করা যায়। তবে অবশ্যই গাছ
  রোপন করার সময় মাটির বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। আবার মাটির সাথে কম্পোস্ট সার
  ব্যবহার করে গাছ রোপন করতে পারেন। এতে করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। আর
  এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে কৃষিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ
  করা।
শেষ কথা
  পরিশেষে, আম জাতীয় ফল না হলেও আমাকে ফলের রাজা হিসেবে ধরা হয়। আম বিভিন্ন জাতের
  রয়েছে। আর এই আম গাছের সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব। আর এই
  আর্টিকেলে আরো জানতে পারলাম আমের মুকুল আসার পর করনীয় কি, আমের গাছে সার
  প্রয়োগের পদ্ধতি, আমের গাছের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয় ইত্যাদি বিষয়ে।
  তাই যদি এ আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আপনার
  শেয়ারের মাধ্যমে অন্যজন উপকৃত হতে পারে। আর নতুন নতুন তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইট
  নিয়মিত ভিজিট করুন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। ধন্যবাদ
 

 
 
 
 
